একযুগ পর সুযোগ পেয়েও হাত ছাড়া হলো ভারতের। ঘরের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে শুরু থেকে দুর্দান্ত আসর কাটিয়েও ফাইনালে এসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হেরে নিজেদের তৃতীয় বিশ্বকাপ জিততে জিততেও জেতা হলো না স্বাগতিকদের। গত রবিবার আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোহিত-কোহলিদের সামনে সুযোগ ছিল এক যুগের বিশ্বকাপ শিরোপার খরা কাটানোর। তবে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বে ভারতের সেই স্বপ্ন ভঙ্গ করে বিশ্বকাপে মিশন হেক্সা সম্পন্ন করে অজিরা। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের পর ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মার মুখে শুনা যায় কিছু রানের আক্ষেপের কথা।
ম্যাচ হারের পর ব্রডকাস্টারদের সঙ্গে কথা বলার সময় কিছু রান কমতির আক্ষেপ করে রোহিত শর্মা বলেন, ‘সত্যি বলতে, আরও ২০-৩০ রান হলে ম্যাচের ফলাফলটা অন্য রকম হতে পারত। যখন রাহুল এবং বিরাট ব্যাটিং করছিল তখন আমরা তাদের কাছ থেকে বড় একটা স্কোর আশা করেছিলাম। আমি ভেবেছিলাম যখন তারা ব্যাটিং করছিল তখন তারা সেখানে একটি ইনিংস খেলার সম্ভাবনা জাগিয়েছিল। তাদের পর আমাদের শুধু ব্যাট করতে হবে। যতক্ষণ সম্ভব। আমাদের তখন লক্ষ্য ছিল ২৭০-২৮০ রান করার। কিন্তু তার পরে আমরা উইকেট হারাতে থাকলাম। এরপর আর আমরা বড় কোনো জুটি গড়তে পারিনি। ২৪০ রানের টার্গেট অস্ট্রেলিয়ার জন্য খুব বড় কিছু ছিল না।’
ভারতের মামুলি সংগ্রহের পর বোলিংয়ে শুরুতে ভালো দাপট দেখায় স্বাগতিকরা। প্রথম সাত ওভারে অজি তিন টপ অর্ডারের মারকুটে ব্যাটার ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল মার্শ ও স্টিভেন স্মিথকে মাত্র ৪৭ রানে ফিরিয়ে জয়ের সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখে তারা। কিন্তু ট্রাভিস হেড ও মার্নাস লাবুশেনের দারুণ ১৯২ রানের জুটি ভারতকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। এ প্রসঙ্গে ভারতীয় এই অধিনায়ক বলেন, ‘যখন আপনার বোর্ডে ২৪০ থাকে, আপনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উইকেট নিতে চাইবেন এবং আমরা তা করেছি। কিন্তু তারপর হেড এবং মার্নাস দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে। আমরা জানতাম সন্ধ্যার পর ব্যাটিং এই উইকেটে কিছুটা ভালো হবে। তবে আমি এটাকে অজুহাত হিসেবে দিতে চাই না, আমরা অস্ট্রেলিয়াকে ভালো লক্ষ্য দিতে পারেনি।’
তবে হারের পরও নিজের দলকে নিয়ে গর্বিত ভারতীয় অধিনায়ক তিনি বলেন, ‘আমি সত্যিই এই দল নিয়ে গর্বিত, যেভাবে আমরা প্রথম ম্যাচ থেকে খেলে আসছি। তবে আজকের দিনটা আমাদের ছিল না, আমরা আমাদের পক্ষ থেকে যা যা করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু তা হয়নি।’
ফাইনালের আগে প্রথম পর্ব এবং সেমিফাইনাল নিয়ে মোট ১০টি ম্যাচ খেলে স্বাগতিক ভারত। সেই সব ম্যাচে শতভাগ জয় রোহিত-কোহলিদের। তবে স্বপ্নের ফাইনালে এসে এমন হোঁচটে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন আরও দীর্ঘ হলো ভারতের।