কুমিল্লায় বরুড়া উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে মো. শহীদ উল্লাহ নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে ২৬ বছর পর ৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খান এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন বরুড়া উপজেলার পরানপুর গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে মো. ইউছুফ ও মো. বনি আমীন, ইউছুফের ভাতিজা মো. সোলায়মান, ইউছুফের শ্যালক আবদুল হক এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন ইউসুফের বড় বোন রজ্জবী বিবি।
জানা গেছে, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ১৯৯৮ সালের ২১ মে দিনের বেলায় আসামিদের সঙ্গে ফার্নিচার ব্যবসায়ী মো. শহীদ উল্লাহর কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে ঐদিন দিবাগত-রাত সাড়ে ৮টার দিকে আসামিরা ওই ব্যবসায়ীকে ডেকে নিয়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে নিহতের ছোট ভাই মো. আমান উল্লা বাদী হয়ে পরদিন একই গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে মো. ইউসুফসহ ১৫ জনকে আসামি করে বরুড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ মামলার তদন্ত শেষে মো. ইউসুফসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে প্রথমে ১৯৯৯ সালের ৮ এপ্রিল একটি এবং ২০০৪ সালের ৩০ অক্টোবর আরেকটি সম্পূরক চার্জশিট (অভিযোগপত্র) আদালতে দাখিল করে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. নুরুল ইসলাম জানান, আদালত এ মামলায় ১৫ জন আসামির মধ্যে চার আসামির মৃত্যুদণ্ড ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন। এ সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর আসামিদের মামলার দায় হতে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আসামিদের মধ্যে মামলাটি চলমান অবস্থায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুল মমিন ফেরদৌস বলেন, মামলার রায়ের কপি হাতে পেলে আসামিপক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল করবে।