শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
The Daily Ittefaq

পার্থেনন ভাস্কর্য যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষতি করবে না: গ্রিক প্রধানমন্ত্রী

আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৭:৫৫

পার্থেনন ভাস্কর্য বিরোধ নিয়ে ব্রিটিশ প্রতিপক্ষ ঋষি সুনাকের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করার ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন গ্রিক প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোতাকিস। বুধবার তিনি বলেছেন, তবে এই ভাস্কর্য বিতর্ক দীর্ঘমেয়াদে গ্রিস ও ব্রিটেনের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষতি করবে না। খবর রয়টার্সের।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক মঙ্গলবার লন্ডনে মিৎসোতাকিসের সঙ্গে একটি বৈঠক বাতিল করেছেন। এরপরদিনই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন গ্রিক প্রধানমন্ত্রী।

ব্রিটিশ সরকারের একজন মুখপাত্র পরে বলেছিলেন, মিৎসোতাকিস সপ্তাহান্তে বিবিসিতে উপস্থিত হয়েছিলেন। সেখানে তিনি ব্রিটিশ মিউজিয়াম থেকে পার্থেনন ভাস্কর্য এথেন্সে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে উত্থাপন করবেন না এ ধরনের কোনো আশ্বাস দেননি।

গ্রিক সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, সাক্ষাত্কারের সময় মিৎসোতাকিস কেবল তার দেশের দীর্ঘস্থায়ী অবস্থানের পুনরাবৃত্তি করেছিলেন। বৈঠক বাতিল করা অসম্মানজনক। বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক বিষয়ে আলোচনা করতে দুই নেতা কাজে বাধা সৃষ্টি করেছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

মিৎসোতাকিস গ্রিক রাষ্ট্রপতি ক্যাটেরিনা সাকেলারোপোলোকে বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি এই পদক্ষেপ (বাতিল) দীর্ঘমেয়াদে গ্রীস ও ব্রিটেনের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষতি করবে না।’

গ্রিস বারবার ব্রিটিশ মিউজিয়ামকে আড়াই হাজার বছরের পুরানো ভাস্কর্যগুলো স্থায়ীভাবে ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। ভাস্কর্যগুলো ব্রিটিশ কূটনীতিক লর্ড এলগিন ১৮০৬ সালে পার্থেনন মন্দির থেকে নিয়ে যায়। তখন গ্রীস অটোমান শাসনের অধীনে ছিল।

এথেন্সের পার্থেনন মন্দিরের সৌন্দর্য বর্ধক ১৬০ মিটার ভাস্কর্যের প্রায় অর্ধেকই বর্তমানে ব্রিটিশ মিউজিয়ামে রয়েছে। মাত্র ৫০ মিটার ভাস্কর্য গ্রিসের অ্যাক্রোপলিস মিউজিয়ামে রয়েছে।

ইত্তেফাক/এসএটি