বাংলা সাহিত্যের অমৃত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যশোর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ১৯ জানুয়ারি থেকে ২৭ জানয়ারি ৯ দিনব্যাপী কেশবপুরের সাগরদাঁড়িতে শুরু হতে যাচ্ছে মধুমেলা।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) মধুমেলা উপলক্ষে বিকালে সাগরদাঁড়িতে বিশেষ আইন-শৃঙ্খলাবিষয়ক এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মধুমেলা কমিটির সভাপতি যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির, কেশবপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি খালেদা খাতুন রেখা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রট কমলেশ মজুমদার, মেলা কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তুহিন হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার আবু দাউদ, কেশবপুর থানার ওসি জহিরুল আলম, কেশবপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি আশরাফ-উজ-জামান খান, কেশবপুর সরকারি পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আছাদুজ্জামান, সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্তসহ অনেকে।
যেহেতু কবির ২০০তম জন্মবার্ষিকী সেহেতু এবার মধুমেলায় লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটবে। সে কারণে মধুমেলাঙ্গনসহ আশপাশের এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ, বিজিবি, র ্যাব ও ডিবি পুলিশ মোতায়েনের ব্যবস্থা করা হবে। মেলার মাঠে রাখা হবে মেডিকেল টিম, দর্শনার্থীদের জন্য ২৫টি টয়লেট ও পানীয় জলের ব্যবস্থা।
এবারের মধুমেলায় বিনোদনের জন্য সার্কাস, যাদু, মৃত্যুকূপ, নাগরদোলার ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়াও মেলাঙ্গনে থাকছে বিভিন্ন পসরার ১৫১টি স্টল।
মেলাঙ্গনে মধুমঞ্চ, কবির বাড়ি, বিদায় ঘাটসহ নানা স্থানে চুনকামসহ রঙ করা হচ্ছে। সাজানো হচ্ছে হরেক রকমের মধু গেট। সব মিলিয়ে সাজ সাজ রব পড়েছে কপোতাক্ষ তীরঘেষা সাগরদাঁড়ির কবির বাড়িসহ মেলার মাঠে।