বরিশালের আগৈলঝাড়ায় দুই বছর আগের নির্বাচনে এক ইউপি সদস্য প্রার্থী ৯১ ভোটে হেরে আদালতে পুনরায় ভোট গণনার আবেদন করেন। দীর্ঘ ২ বছর ৩ মাস পর বিচারকের উপস্থিতিতে ভোট গণনায় দেখা যায়, সেই ইউপি সদস্য প্রার্থী বরং ৩৭ ভোট বেশি পেয়েছেন। পরে আদালত আবেদনকারী ওই প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বরিশাল সিনিয়র সহকারী জজ হাসিবুল হাসানের আদালত এ ঘোষণা দেন।
নবনির্বাচিত ওই প্রার্থী হলেন উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থী (ফুটবল প্রতীক) আসাদুজ্জামান খলিফা। তিনি এই ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ছিলেন।
আদালতের গণনা অনুযায়ী, ফুটবল প্রতীকে আসাদুজ্জামান খলিফা পেয়েছেন ১ হাজার ১৭২ ভোট এবং বর্তমানে ইউপি সদস্যর দায়িত্ব পালন করা মামুন পাইক মোরগ প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ১৩৫ ভোট।
জানা গেছে, ২০২১ সালের ১১ নভেম্বর আগৈলঝাড়ার বাকাল ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণ শেষে প্রিজাইডিং অফিসার কামরুজ্জামানের গণনা অনুযায়ী সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুন হোসেন পাইককে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
ফলাফলে দেখা যায়, মোরগ মার্কার প্রার্থী মামুন পাইক ১২৮০ ভোট পেয়েছেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী আসাদুজ্জামান খলিফা পেয়েছেন ১১৮৯ ভোট এবং আপেল প্রতীকের প্রার্থী লাল মিয়া পাইক ১ ভোট পেয়েছেন। সেই অনুযায়ী মামুন পাইককে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
পরাজিত প্রার্থী আসাদুজ্জান খলিফা পুনরায় ভোট গণনা চেয়ে ২০২২ সালের ৪ জানুয়ারি আদালতে মামলা করেন। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিচারক আদালতে মামলার বাদী-বিবাদী ও তাদের নিযুক্ত আইনজীবীদের উপস্থিতিতে ভোট পুনঃগণনা করেন।
আসাদুজ্জামান খলিফা বলেন, তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দিতাকারী মামুন পাইক প্রিজাইডিং অফিসারকে প্রভাবিত করে হারিয়েছিলেন। অবশেষে আদালতে পুনরায় ভোট গণনার পর আমার এলাকার মানুষ তাদের রায় পেয়েছে। আমি এতে আনন্দিত।