সরকারিভাবে লিজ নেওয়া পুকুর থেকে জোরপূর্বক মাছ ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় তোপের মুখে অন্য রাস্তা দিয়ে পালিয়ে গেলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফিরোজ হোসেন।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে বগুড়ার আদমদীঘির ডহরপুরগ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানান, আদমদীঘির ডহপুর গ্রামের সরকারি খাস খতিয়ানের ৯৪ শতক বেলগাড়ী পুকুর সরকারি বিধি মেনে ১৪৩০ বাংলা সন পর্যন্ত লিজ নিয়ে মাছ চাষ করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম থান রাজু। বর্তমানে তিনি অসুস্থতার কারণে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ সুযোগে শুক্রবার ভোরে এসিল্যান্ড ফিরোজ হোসেন তার অধীনে থাকা উপজেলা ভুমি অফিসের কর্মচারী, ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পুলিশ নিয়ে বেলগাড়ী পুকুরে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাছ ধরে বাজারজাত করেন।
এদিকে মাছ ধরার খবর ছড়িয়ে পড়লে গ্রামের লোকজনসহ এসিল্যান্ডের ব্যাকবিতণ্ডা শুরু হয়। লিজের কাগজপত্র সঠিক থাকার পর মাছ ধরার কারণ জানতে চেয়ে রাস্তায় পথরোধ করলে এসিল্যান্ড ফিরোজ হোসেন রাস্তা পাল্টে পালিয়ে যান।
পুকুরের মালিক রাজু খানের ভাই জয়নাল আবেদীন খাঁন বলেন, সরকারি আইন মেনে বৈধতার মাধ্যমে আমার ভাই রাজু খাঁন সরকার থেকে ডিসির মাধ্যমে টাকা জমা দিয়ে লিজ নিয়ে পুকুরে মাছ চাষ করে আসছে।
তিনি বলেন, এসিল্যান্ড ফিরোজ হোসেন লোকবল দিয়ে জোরপূর্বক অর্ধকোটি টাকা মূল্যের মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এ সময় তার কাছে জানতে চাইলে তেমন কোনো জবাব দেননি।
সিরাজুল ইসলাম রাজু খানের স্ত্রী মুনজু আরা বেগম বলেন, চলতি বাংলা বছরের ১৪৩০ সন পর্যন্ত সরকারিভাবে বেলগাড়ী পুকুরটি লিজ নেওয়া আছে। বকেয়ার কোন নোটিশ বা মৌখিকভাবেও না জানিয়ে পুকুরে জোরপূর্বক অভিযান চালিয়ে অর্ধকোটি টাকার মাছ ধরে নিয়ে যায় এসিল্যান্ড ফিরোজ হোসেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফিরোজ হোসেনের বলেন, সরকারি রাজস্ব বকেয়া থাকায় অভিযান চালানো হয়েছে এবং পুকুর থেকে মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করে সরকারের বকেয়া রাজস্ব পুরণ করা হবে।
পুকুরের মালিককে নোটিশ না দেওয়া ও লিজ না নেওয়ার অফিসিয়াল কাগজপত্র বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলতে চাননি।