কালিয়াকৈরে কাঙ্ক্ষিত উৎকোচ না পেয়ে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) থেকে মূল দুই আসামির নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার নাম সাজিদ আহমেদ। তিনি কালিয়াকৈর থানায় উপপুলিশ পরিদর্শক পদে কর্মরত।
মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী অভিযোগে জানান, গত ২৩ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার দিকে কালিয়াকৈর পৌরসভার কালামপুর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের খাজারডেগ এলাকায় পূর্বশত্রুতার জের ধরে স্থানীয় কাউন্সিলরের ছেলে রাকিব তার সহযোগীসহ ব্যবসায়ী শাহীন রেজার ওপর হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় শাহীন রেজার স্ত্রী মুন্নি আক্তার বাদী হয়ে ২৪ ডিসেম্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ আমলে নিয়ে গত ১৫ জানুয়ারি থানায় তিন জনের নাম উল্লেখসহ পাঁচ-ছয় জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা নেন থানার পুলিশ। এজাহারভুক্ত উল্লেখিত অসামিরা হলেন কালিয়াকৈর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও কালামপুর এলাকার বাসিন্দা মো. আবুল কাশেমের পুত্র মো. রাকিব, একই এলাকার মো. রঞ্জু মিয়ার ছেলে তানজিম ও সাত্তার মিয়ার ছেলে সজল।
একপর্যায়ে আসামি ধরার কথা বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই সাজিদ আহমেদ ভুক্তভোগীর কাছে থেকে ১৫ হাজার টাকা উেকাচ নেন। এজাহারভুক্ত দ্বিতীয় আসামি তানজিমকে গ্রেফতার করা হলেও বাকি আসামিদের ধরতে গড়িমসি করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
আরো দুই আসামিকে গ্রেফতারের কথা বলে তাদের কাছে আরো ১০ হাজার টাকা উেকাচ দাবি করেন এস আই সাজিদ। তা না দেওয়ায় অভিযোগপত্র থেকে ১ নম্বর আসামি রাকিব ও ২ নম্বর আসামি সজলের নাম বাদ দেওয়া হয় বলে বাদী ও ভুক্তভোগীর অভিযোগ। অবশ্য সাজিদ আহমেদ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি সঠিকভাবে তদন্ত করে যা পেয়েছেন, অভিযোগপত্রে তা-ই উল্লেখ করেছেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এফ এম নাসিম বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। তদন্তে প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।