রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে আগুনে নিহতদের রাখা হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে। সেখানেই সকাল থেকে লাশের জন্য অপেক্ষা করছেন নিখোঁজ মানুষজনের আত্মীয়-স্বজন। লাশের অপেক্ষায় থাকা এসব স্বজনদের আহাজারি আর কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে ঢামেকের জরুরি বিভাগের চত্বর।
শুক্রবার (১ মার্চ) দেখা যায়, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নিয়ে জরুরি বিভাগ এবং বার্ন ইউনিটের সামনে স্বজনরা অপেক্ষা করছেন। অনেকেই স্বজনের স্মৃতি স্মরণ করে কান্না করছেন।
আবার পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পর সকাল থেকে লাশ নিয়েও যাচ্ছেন অনেকে। লাশ হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় যুক্ত রয়েছেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। রাতেই ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে নিহতদের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে পুলিশ। এরপর লাশগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ঢাকা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ.কে.এম. হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত শনাক্ত হওয়া ২৯ জনের লাশ স্বজনদের মধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে। শনাক্ত হওয়া কয়েকটি লাশ হস্তান্তরের অপেক্ষায় রয়েছে। লাশ হস্তান্তর কার্যক্রম সহজ করতে জরুরি বিভাগের সামনে ঢাকা জেলা প্রশাসনের তথ্য ও সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে বেইলি রোডের ওই ভবনের নিচের অংশে আগুন লাগে। খবর পেয়ে পর্যায়ক্রমে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ ঘটনায় ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। এদের মধ্যে ২২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ছাড়া ৭৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।