চট্টগ্রাম-১৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিদেশে সম্পদ অর্জনের প্রক্রিয়া ও পরিমাণ যথাযথভাবে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
রোববার (৩ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানায় টিআইবি। এর আগে গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সাইফুজ্জামান চৌধুরী লন্ডনে ব্যবসা ও সম্পদ থাকার কথা স্বীকার করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাবেক ভূমিমন্ত্রী বলেছেন, হলফনামা পুরোপুরি বাংলাদেশের আয়কর রিটার্নের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়। এতে বিদেশে সম্পদের তথ্য দেওয়ার আলাদা কোনো ছক নেই। বাড়তি তথ্য তিনি কেন দিতে যাবেন?
বিদেশের সম্পদ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে কোনো টাকা নেননি বলেও দাবি করেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
তবে ভূমিমন্ত্রীর এই ব্যাখ্যাকে অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য আখ্যায়িত করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রথমত সাবেক ভূমিমন্ত্রী হলফনামায় তথ্য গোপন করেছেন। আর নির্বাচনী হলফনামায় মিথ্যা বা অপর্যাপ্ত তথ্য প্রকাশ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। হলফনামায় একজন প্রার্থীর সব সম্পদের বিবরণ প্রদানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তা দেশে বা বিদেশে যেখানেই থাকুক না কেন।
তিনি আরও বলেন, বিদেশে সম্পদের জন্য আলাদা কলাম নেই বলে খোঁড়া যুক্তি দিয়ে তিনি নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন।