প্রতিবছরের মতো এবছরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদসহ দেশ ও বিদেশে মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজনকারী সকল প্রতিষ্ঠানকে অভিন্ন প্রতিপাদ্য ও নকশায় পোস্টার দেওয়ার লক্ষ্যে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা গবেষণা ও প্রসার কেন্দ্র’ পোস্টার নকশা প্রণয়নের কর্মশালা শুরু করেছে।
মঙ্গল শোভাযাত্রার শুরু থেকে পোস্টার প্রণয়নে যুক্ত শিল্পী তরুণ ঘোষের পরিচালনায় মঙ্গল শোভাযাত্রা ১৪৩১ এর পোস্টার প্রণয়ন কর্মশালা পরিচালিত হয়। অনলাইনে উন্মুক্ত আহ্বানের মাধ্যমে কর্মশালায় অংশগ্রহণ করছেন ২৫ জন শিল্পী।
কর্মশালা ছাড়াও উন্মুক্ত আহ্বানের মাধ্যমে শিল্পীরা পোস্টারের নকশা জমা দিয়েছেন। কর্মশালা ও উন্মুক্ত আহ্বানে প্রাপ্ত নকশা থেকে একটি নকশাকে মুদ্রণের জন্য নির্বাচন করা হবে।
২৭ মার্চ রাজধানীর এশিয়াটিক সোসাইটির শিল্প গ্যালারিতে কর্মশালার উদ্বোধন করেন প্রসার কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবুল বারক আলভী।
মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য নিয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলা সাহিত্যের বর্তমান সময়ের অন্যতম বিশারদ অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক। ‘লোক অলংকরণ ও মোটিফ’ এবং ‘বাংলাদেশের লোকজন শিল্পের মোটিফ: সরা চিত্র, আঞ্চলিক বৈচিত্র’ বিষয়ে প্রামাণ্য উপস্থাপন করেন দুই লোকজ গবেষক যথাক্রমে চন্দ্রশেখর সাহা ও ইমরান উজ-জামান।
প্রসার কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক শহীদ আহমেদ মিঠু এবং গবেষণা ও প্রসার বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হাসান লিটু জানান, আজ কর্মশালার শেষ দিন।
আগামীকাল চূড়ান্ত পোস্টার নকশা জমা নেয়া ও নির্বাচনের কাজ সম্পন্ন হবে। পোস্টার ছাপার কাজ সম্পন্ন করে সর্বত্র পাঠানোর কাজ সম্পন্ন করা হবে।
১৪২০ বঙ্গাব্দ থেকেই পোস্টার নকশা প্রণয়ন, মুদ্রণ ও বিতরণের কাজটি করে আসছে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা গবেষণা ও প্রসার কেন্দ্র’। যার মূল উদ্যেশ্য, সারা পৃথিবীর সকল বাংলা ভাষাভাষী মানুষের একটি অভিন্ন পোস্টার ও স্লোগানে মঙ্গল শোভাযাত্রা পালন করা।
এ বছরের মঙ্গল শোভাযাত্রা মূল প্রতিপাদ্য ‘আমরা তো তিমির বিনাশী’। কবি জীবনান্দ দাসের ‘সাতটি তারার তিমির’ কাব্যগ্রন্থের ‘তিমির হননের গান’ কবিতার শেষ পক্তিটি নিয়ে নির্বাচন করা হয়েছে।