মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৫ ফাল্গুন ১৪৩১
The Daily Ittefaq

কমেছে মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী, বেড়েছে কারিগরি ও মাদ্রাসায়

আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২৪, ১০:০১

২০২৩ সালে দেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় কমেছে ৭ লাখ ২৩ হাজারের বেশি। এ সময়ে কারিগরি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩৬ হাজার এবং মাদ্রাসাশিক্ষার্থী বেড়েছে প্রায় ৪ হাজার।

বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) খসড়া প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে দেখা গেছে এ নিয়ে টানা তিন বছর ধরে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, মাধ্যমিকে ২০২১ সালে আগের বছরের তুলনায় ৮৬ হাজার ৫২৮ শিক্ষার্থী কমে যায়। ২০২২ সালে কমে ৪০ হাজার ৫৭১ এবং ২০২৩ সালে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৭ লাখ ২৩ হাজার ৪৮৮ জন।

ব্যানবেইসের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রধান শেখ মোহাম্মদ আলমগীর প্রতিবেদনটি উপস্থাপনের সময় বলেন, ‘শিক্ষার্থী কমে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ কোভিড-১৯ মহামারি।’

তিনি জানান, দেশে মাধ্যমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত ৩৯ হাজার ৭৮৮ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২ কোটি ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৬০ শিক্ষার্থী এবং ৬ লাখ ৪০ হাজার ৬৩৯ জন শিক্ষক আছেন। শিক্ষার্থীদের ৫১ শতাংশ এবং শিক্ষকদের ২৮ শতাংশ নারী।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, ১২৩টি ইংলিশ মিডিয়াম সেকেন্ডারি স্কুলে ২৮ হাজার ১৩ শিক্ষার্থী এবং ৫ হাজার ৮৭৩ জন শিক্ষক আছে।

ঝরে পড়ার হার
২০২৩ সালে মাধ্যমিক স্তরে ঝরে পড়ার হার ছিল ৩২ দশমিক ৮৫ শতাংশ, যা আগের বছরের তুলনায় ৩ দশমিক ১৩ শতাংশ কম। নারী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ঝরে পড়ার হার ছিল ৩৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ। ২০২২ সালে এই হার ছিল ৪০ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

এদিকে, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ঝরে পড়ার মোট হার ছিল ২১ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে এই হার ছিল ২২ দশমিক ৪৫ শতাংশ। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৩ সালে একজন শিক্ষকের বিপরীতে শিক্ষার্থী ছিল ৩৩ জন এবং প্রায় ৭২ শতাংশ শিক্ষক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিলেন।

ব্যানবেইসের রিপোর্টে আরও দেখা যায়, ২০২৩ সালে দেশের ৯ হাজার ২৫৯টি মাদ্রাসায় ২৭ লাখ ৫৮ হাজার ৫০৪ জন শিক্ষার্থী এবং ১ লাখ ১৮ হাজার ২৮০ জন শিক্ষক ছিলেন। শিক্ষার্থীদের প্রায় ৫৩ শতাংশ এবং শিক্ষকদের ২০ শতাংশ নারী।

ইত্তেফাক/এসজেড