ঢাকার ধামরাইয়ে গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ একই পরিবারের ৪ জনের মধ্যে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিটিউটে ৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তাদের মৃত্যু হয়।
মারা যাওয়া ৩ জন হলেন- নুরুল ইসলাম নান্নু মিয়া (৫৫), তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৫০) ও তাদের ছেলে এইচএসসি পরীক্ষার্থী আল হাদী সোহাগ (১৮)।
তবে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়ে নিশরাত জাহান সাথী (২২) কিছুটা সুস্থ রয়েছে বলে জানা গেছে। তিনি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা গেছে, রোববার (৩১ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুফিয়া মৃত্যুবরণ করেন। সোমবার (১ এপ্রিল) ভোর ৪টার দিকে নুরুল ইসলাম ও বেলা ১১টার দিকে তাদের ছেলে আল হাদী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এর মধ্যে সুফিয়ার শরীরের ৮০ শতাংশ, নুরুল ইসলামের ৪৮ শতাংশ ও আল হাদীর ৪৩ শতাংশ দগ্ধ ছিল। চিকিৎসাধীন নিশরাত জাহানের শরীরের ১৬ শতাংশ পুড়ে গেছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, দগ্ধ নুরুল ইসলাম, সুফিয়া বেগম ও আল হাদীর মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসাধীন অপরজনের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও তিনি শঙ্কামুক্ত নন।
এর আগে ২৭ মার্চ সাহ্রির জন্য রান্না করতে গেলে গ্যাসের লিকেজ থেকে ফ্ল্যাটে জমে থাকা গ্যাসে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে একই পরিবারের ওই ৪ জন দগ্ধ হন।