একটি স্মার্ট স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। লক্ষ্য হলো ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাধ্যমে উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে নিয়ে যাওয়া। উন্নত রাষ্ট্র হতে হলে জনগণের মাথাপিছু আয় থাকতে হয় কমপক্ষে ১৩,২০৫ ডলার। বাংলাদেশের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে এদেশের জনগণের মাথাপিছু আয় ১৬ হাজার ডলারে উন্নীত করা বর্তমানে যা ২৭৬৫ ডলার। বিশ্বব্যাংকের হিসেব অনুযায়ী আমাদের মাথা পিছু আয় ২৮৩০ ডলার হলেই আমরা মধ্যম আয়ের দেশে মর্যাদা পাব। সব কিছু মাথায় রেখে লক্ষ্য অর্জনের জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হচ্ছে ব্যাপক হারে। পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেস, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর, অনেকগুলো অর্থনৈতিক অঞ্চল, কর্ণফুলী টানেল, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ঢাকা - চট্টগ্রাম ৮ লেনের মহাসড়ক, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ৩য় টার্মিনাল ইত্যাদি স্থাপনা একের পর এক চোখের সামনে ভেসে উঠছে। সবগুলো মিলে একসাথে দেশের অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করবে অতি দ্রুত। গতি যত বাড়বে তত দ্রুত বাংলাদেশ তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌছুঁতে পারবে। গতি বাড়ার ফলে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে বিশে^র ২৩তম অর্থনীতির দেশ যার বর্তমান অবস্থান ৩৫তম। কালক্রমে দেশের এই উন্নয়নের সুফল পাবে দেশের মানুষ। তারা দুহাতে উপার্জন করবে, দুহাতে খরচ করবে। আরাম আয়েশে দিন কাটাবে।
মোটাদাগে উন্নয়নের পরিকল্পনাটি চমৎকার। সুষ্ঠু বাস্তবায়নের ফলে এদেশের মানুষও আমেরিকা, ইউরোপ, জাপান ও সিঙ্গাপুরের মানুষের মতো নাগরিক সুযোগ সুবিধা ভোগ করবে। তবে আপাতত বাস্তবায়ন কষ্টসাধ্য এবং ফলাফল আশঙ্কাজনক বলে আমার মনে হচ্ছে। কারণ যাদের ১৬ হাজার ডলার উপার্জন করার কথা বলা হচ্ছে, তারা সেই সময় পর্যন্ত বেঁচে থাকবে তো? আর বেঁচে থাকলেও তাদের সেই পরিমাণ আয় উপার্জন করার সক্ষমতা আছে তো? তারা কি বিক্রি করে এতো টাকা উপার্জন করবেন? শ্রম বিক্রি করবেন নাকি পণ্য বিক্রি করবেন? এই অদক্ষ জনগোষ্ঠীর শ্রম এত পয়সা দিয়ে কে কিনবে? আর আমাদের এমন কি পণ্য আছে যে এত চড়া দামে বিক্রি করা যাবে? এই প্রশ্নগুলো আর কোন সাধারণ নাগরিকের মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে কিনা জানিনা। তবে আমার মাথায় তীব্রভাবে ঘুরপাক খাচ্ছে। রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণী পর্যায় থেকে যখন এমন একটি ঘোষণা আসে তখন আমাদের মতো সাধারণ নাগরিকদের চাপ অনুভব করা স্বাভাবিক, যেহেতু ১৬ হাজার ডলার উপার্জনের ব্যবস্থা আমাদেরকেই করতে হবে যাদের মধ্যে আমিও একজন। আর আমিসহ অন্যান্য সাধারণ নাগরিকগণ তাদের উপার্জন নিশ্চিত করতে না পারলে রাষ্ট্র তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌছুঁতে পারবে না।
বাংলাদেশের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ মধ্যবিত্ত যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৫ শতাংশ। এই মধ্যবিত্তরাই ইউরোপে রেনেসাঁ ঘটিয়েছিল। এখানেও এমন কিছু ঘটাতে চাইলে তাদের দিয়েই ঘটাতে হবে। আর তাদের দিয়ে এমন কিছু ঘটাতে চাইলে তাদের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অবগত থাকা প্রয়োজন। তাদের সাথে সংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলো সমাধান করা গেলে লক্ষ্য অর্জন সম্ভব।
চলুন, জেনে নেওয়া যাক আমাদের মধ্যবিত্তের বর্তমান অবস্থা। আমাদের মধ্যবিত্তরা বর্তমানে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছে। তাই তাদের ২০৪১ সাল পর্যন্ত বেঁচে থাকা নিয়ে প্রশ্ন আনা হয়েছে সবার প্রথমে। মধ্যবিত্ত পরিবারের মাসিক আয় ধরা হয় ৪০ হাজার টাকা থেকে ৮০ হাজার। যদি পরিবারের উপার্জন ৪০ হাজার টাকা হয় এবং চার সদস্যের পরিবার হয় তাহলে বাসা ভাড়া দিয়ে বাচ্চাদের পড়াশোনার খরচ মিটিয়ে বাকি টাকা দিয়ে বর্তমান বাজার প্রেক্ষাপটে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবারের ব্যবস্থা করা ঐ পরিবারের পক্ষে অসম্ভব। এমন কি ঐ পরিবারের আয় ৬০ হাজার টাকা হলেও অসম্ভব। তার উপর আছে খাদ্য-পণ্য সহ অন্যান্য পণ্যে অতিমাত্রায় বিষাক্ততা। সেই সাথে আছে বসবাসের অনুপযোগী চরম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। এখানকার বাতাস দুষিত, পানি দুষিত এবং মাটি দুষিত। এই পরিস্থিতিতে এদেশের মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠী টিকে থাকবে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।
এবার আসি আয় উপার্জনের কথায়। পরিকল্পিত ১৬ হাজার ডলার মাথাপিছু আয় মানে প্রতি জনের বার্ষিক আয় ১৬ হাজার ডলার। বর্তমান বিনিময় হার অনুসারে বাংলাদেশের মুদ্রায় যার মূল্যমান দাড়ায় ১৮ লাখ ২৪ হাজার টাকা। চার জনের পরিবারে বছরে উপার্জন থাকতে হবে তখন ৭২ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। অর্থাৎ প্রতিমাসে ঐ পারবারের আয় থাকতে হবে ৬ লাখ ৮ হাজার টাকা। সন্তানরা শিক্ষার্থী হলে এবং স্বামী-স্ত্রী দুজন কাজ করলে প্রত্যেককে মাসে উপার্জন করতে হবে ৩ লাখ ৪ হাজার টাকা। ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় মূল্য যদি সে সময় কমে তখন আরো বেশি টাকা উপার্জন করতে হবে। এদেশের বেশিরভাগ মানুষ শ্রমজীবী, কৃষিজীবী এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। তাদের শ্রম ৩ লাখ ৪ হাজার টাকায় কেনার মতো মার্কেট কি দেশে ততদিনে তৈরি হবে? ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মুনাফার হার সর্বোচ্চ ১০%। ৩ লাখ ৪ হাজার টাকা মুনাফা করতে হলে তার মাসিক বিক্রির পরিমাণ হতে হবে ৩০ লাখ টাকার উপরে। ঠিক কি বিক্রি করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এত টাকা উপার্জন করবেন তা বোধগম্য নয়। কৃষকের হিসাব তো আরো জটিল।
উপর্যুক্ত দুটো বিষয় বিশ্লেষণ করলে যা দাড়ায় তা হলো, অপুষ্টিতে আক্রান্ত অথবা অসুস্থ মধ্যবিত্ত নাগরিকদের নিয়ে কোনভাবেই রেনেসাঁ সম্ভব নয়। তাদের দিয়ে কিছু করাতে চাইলে আগে তাদের সুস্বাস্থ্য ও সুস্থতা নিশ্চিত করতে হবে। তাদের মস্তিষ্ককে উদ্ভাবনী ও কৌশলী বানাতে হলে তাদের জন্য ভেজালমুক্ত ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের যোগান দিতে হবে। আর খাবারের যোগান তো এমনি এমনি হবে না। খাবারের উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমদানি নির্ভরতা কমাতে হবে। অপরিহার্য নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর ক্ষেত্রে নিম্নোক্তো পদক্ষেপগুলো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
পতিত জমি কৃষি কাজে লাগানো
বাংলাদেশ আয়তনে অনেক ছোট একটি দেশ। এদেশে কৃষি জমির পরিমাণ খুবই কম। অথচ এখানকার অনেক জমি পতিত পড়ে থাকতে দেখা যায়। যেমন- মহাসড়ক, আঞ্চলিক সড়ক, ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ের সড়কগুলোর দুই পাশ আগাছায় ভরে থাকতে দেখা যায়। কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি করার মাধ্যমে এই জায়গাগুলোতে বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদের ব্যবস্থা করতে হবে। খালগুলোর নব্যতা বৃদ্ধি করে এবং প্রয়োজনে কৃত্রিম জলাবদ্ধতা তৈরি করে মাছ চাষ করা যায়।
সাধ্যমতো নিজের খাদ্য নিজে উৎপাদন করা
আমরা দেখেছি, আগে গ্রামের বসত বাড়িতে গৃহিণীরা সারা বছরই বিভিন্ন ধরণের শাক-সবজি, ফল-ফসল উৎপাদন করতেন। হাঁস, মুরগী, গরু, ছাগল ইত্যাদি পালন করতেন। পরিবারের সদস্যদের খাবারের বেশিরভাগেরই যোগান আসতো তাদের বসত ভিটা থেকেই। তারা প্রতিদিনই টাটকা খাবার খেতে পারতেন। সেই বসত বাড়ির কৃষিকাজ আজকাল বেশি একটা দেখা যায় না। গ্রামের মানুষ এখন খাবারের জন্য বাজারের উপর নির্ভরশীল। বাজার থেকে কিনে না আনলে বাড়িতে এখন আর রান্না হয় না। তাতে একদিকে যেমন দেশে সামষ্টিক খাদ্য উৎপাদন কমেছে অন্যদিকে আমদানির উপর চাপ বেড়েছে। আবার ফসলেরর গুণগত মানও কমেছে। মানুষও টাটকা খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসার একমাত্র উপায় হলো সাধ্যমতো নিজের খাদ্য নিজে উৎপাদন করা। গ্রামের এবং শহরে মানুষকে এই বিষয়ে উদ্ধুদ্ব করতে হবে। হাইড্রোপনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উলম্ব পদ্ধতিতে চাষাবাদ করলে অল্প জায়গায় কয়েকগুণ বেশি ফসল উৎপাদন করা সম্ভব।
উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন করা
আমরা সবাই অবগত আছি যে, আমাদের দেশের মানুষের চাহিদা পূরণের জন্য বছরে যে পরিমাণ খাদ্য পণ্য দরকার হয় সে পরিমাণ খাদ্য আমাদের দেশে উৎপাদিত হয় না। বাধ্য হয়ে আমাদেরকে আমদানি করতে হয়। আমদানি নির্ভরতা কমাতে হলে আমাদেরকে কৃষি গবেষণায় আরো বিনিয়োগ করতে হবে। উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন করতে হবে যাতে দেশে খাদ্য পণ্যের উৎপাদন বাড়ে।
কৃষি জমিতে বসতবাড়ি ও কারখানা স্থাপনে নীতিমালা প্রণয়ন
আমাদের দেশে আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যা বেশি। বেশি জনসংখ্যা বিধায় এখানকার মানুষের বসত ভিটার জন্যও বেশি জমির প্রয়োজন হয়। বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশের গ্রামের এবং শহরের কিছু মানুষের আর্থিক অবস্থার অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে। অর্থনীতির থিউরি মেনে তারা একটু আরাম আয়েশে থাকার জন্য উন্নত আবাসনের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। আর এই আবাসন গড়ে উঠছে কৃষি জমিতে। কল কারখানার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। কৃষি জমির উপর গড়ে উঠছে শিল্প-কারখানা। ফলে কৃষি জমি আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস পাচ্ছে। তাতে ব্যাহত হচ্ছে খাদ্য উৎপাদন। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় হলো অবিলম্বে রাষ্ট্র কর্তৃক কৃষি জমিতে বসতবাড়ি ও কারখানা স্থাপনের ক্ষেত্রে নীতিমালা প্রণয়ন করা। যত্রতত্র বসতবাড়ি কিংবা কারখানা স্থাপন করতে অনুমোদন দেওয়া উচিৎ নয়।
নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা
এদেশের মানুষের নিরাপদ খাদ্য জ্ঞানের যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। আমরা কোন খাদ্য উৎপাদন করবো, কোনটি করবো না; খাদ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে কোন উপাদান ব্যবহার করবো, কোনটি করবো না; কি খাবো, কি খাবো না; কোন প্রক্রিয়ায় খাদ্য প্রস্তুত করবো, কোন প্রক্রিয়ায় করবো না; কোনটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, কোনটি ভালো না - এই নিয়ে আমাদের বেশিরভাগ মানুষ যথাযথ জ্ঞান রাখেন না। রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও উক্ত বিষয়গুলো নিয়ে জনসচেতনতা তৈরিতে বিশেষ তৎপরতা লক্ষ্য করা যায় না। অথচ এই বিষয়টি সর্বাগ্রে এবং সর্বাধিক গুরুত্ব পাওয়া উচিৎ। অর্থাৎ, খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও পরিবেশন করার নিরাপদ উপায় নিয়ে এদেশের মানুষকে শিক্ষিত করা জরুরী।
মাথাপিছু আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কৌশল
স্মার্ট বাংলাদেশে মাথাপিছু আয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা অর্জন করা খুব সহজ সাধ্য ব্যাপার নয়। এর জন্য রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক কাঠামোতে ব্যাপক পরিবর্তন জরুরী। উচ্চ মূল্যে শ্রম ও উচ্চ মূল্যের পণ্য রপ্তানির ব্যবস্থা করতে হবে। তার জন্য আমাদের প্রয়োজন দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা। দক্ষতার মাপকাঠিতে উচ্চ আয়ের দেশের জনশক্তির তুলনায় এদেশের জনশক্তির অবস্থান অনেক নিচে। এদেশের মানুষের গড় উৎপাদনশীলতা অনেক কম। এদের উদ্ভাবনী দক্ষতাও কম। প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও তার প্রায়োগিক দিক দিয়েও তারা বেশ দুর্বল। উচ্চ আয়ের দেশের মানুষের তুলনায় তারা চিন্তা ভাবনায়ও অনেক পিছিয়ে। তারা একটি সরকারি চাকুরীর জন্য জীবন উৎসর্গ করে দেয়। চাকুরী পাওয়ার পর উচ্চবিত্ত হওয়ার সহজ পথ পেয়ে মেধার চর্চা বন্ধ করে দেয়। এই অবস্থা থেকে মধ্যবিত্তকে বের করে আনতে হবে। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী জ্ঞানে তাদেরকে সমৃদ্ধ করতে হবে। তাদের দক্ষতার মান বৈশ্বিক মানের সমপর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। বিশ্ব বাজারে তাদের দক্ষতা উচ্চ মূল্যে বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ জরুরী। শুধু মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত কিংবা, নিম্নবিত্ত নিয়ে অথবা কাউকে বাদ দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। উপরের কথাগুলো দেশের সবার জন্যই প্রযোজ্য। সবার সুস্বাস্থ্য প্রয়োজন। সবার মেধার চর্চা প্রয়োজন। সবার দক্ষতার উন্নয়ন জরুরী। মধ্যবিত্তের তো লাগবেই।
লেখক: উদ্যোক্তা অর্থনীতিবিদ ও গবেষক
চেয়ারম্যান, স্কুল অব অন্ট্রুপ্রেনিউরশিপ ডেভেলপমেন্ট ও এন্টারপ্রাইজ ৩৬০ লি.