ঈদ মানেই কাজের ব্যস্তার মাঝেও নিজেকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলার গোপন ইচ্ছা মনে লালন করা। এবার প্রচণ্ড গরম পড়েছে। তাই গরমের ব্যাপারটা মাথায় রেখেই ত্বকের যত্নে কিছু আগাম প্রস্তুতি নিয়ে নিতে পারি। রইলো ইন্টারন্যাশনালি সার্টিফায়েড মেকআপ আর্টিস্ট বিউটি ব্লগার মীম সাবিহা সাবরীনের টিপস:
সাধারণত ত্বকের যত্নে সবার আগে যে জিনিসটি প্রয়োজন, সেটি হলো ডিপ ফেস ক্লিনিং। আপনার স্কিন যদি যথাযথভাবে ক্লিন করে ফেলতে পারেন, তাহলে অর্ধেক স্কিন কেয়ার সম্পন্ন হলো। সেই জন্য জরুরি ফেসিয়াল করা। যদিও গরম পড়েছে কিন্তু ওয়েদারের কারণে স্কিন বেশ ডিহাইড্রেট হয়ে থাকে। এবার গরমেও অনেকের ঠোঁট ফাটছে। এজন্য সাজেস্ট করবো হাইড্রেটিং ফেসিয়াল করার জন্য। এটি সব ধরনের ত্বকের জন্যই উপযোগী। যাদের একটু ড্রাই স্কিন, তারা যেমন হাইড্রেটিং ফেসিয়াল করতে পারবেন, যাদের ওয়েলি স্কিন, তারাও এই ফেসিয়াল করতে পারবেন।
আপনার স্কিনের মৃত কোষগুলো চলে যাবে,হোয়াইট হেডস বা ব্ল্যাক হেডসগুলো দূর হয়ে একটি মসৃণ ও সুন্দর ত্বক হবে। এরপর টিস্যুতে একটা আইস নিয়ে ফেসে আস্তে আস্তে রাব করতে হবে। আর একটা খুব জরুরি ব্যাপার হলো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা। আমাদের অনেকেরই ধারণা, শুধু ড্রাই স্কিন যাদের, তারাই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবে। ওয়েলি স্কিন যাদের, তাদের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে না। এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। সব ধরনের স্কিনেই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হয়। নরমাল, ড্রাই, সেনসেটিভ; সব ধরনের স্কিনের জন্য ময়েশ্চারাইজার মাস্ট। স্কিন টাইপের ওপর ডিপেন্ড করবে কোন ধরনের ময়েশ্চারাইজার ইউস করা হবে। যেমন যাদের ওয়েলি স্কিন, তারা ইউজ করবে জেইল বেইজড ময়েশ্চারাইজার,আবার যাদের ড্রাই স্কিন, তারা ইউজ করবে ওয়েল বেইজড বা ওয়াটার বেইজড ময়েশ্চারাইজার। কিন্তু ময়েশ্চারাইজার ছাড়া স্কিনে মেকাপও বসতে চাইবে না। নর্মালিও ত্বক সুন্দর থাকবে না। যখনই আমরা কোনো প্রোডাক্ট স্কিনে অ্যাপ্লাই করবো, তার আগে অবশ্যই সেই প্রোডাক্টের উপাদানগুলো দেখে নেবো। কারণ, আমাদের একেক জনের একেক জিনিসে এলার্জি থাকে। যেমন কারও অ্যালোভেরাতে এলার্জি হয় আবার কারও লেবুতে। তাহলে অবশ্যই যখন আমরা কোনো প্রোডাক্ট ইউজ করবো, তখন এই জিনিসগুলো অবশ্যই খেয়াল রাখবো। আমরা যখনই কোনো পার্লারে যাবো, অবশ্যই সেই পার্লারের মান বুঝে যাবো। তারা কী ধরনের প্রোডাক্ট ইউজ করে। এসবের পাশাপাশি পেডিকিউর করানো, চুলের যত্নে একটু স্পা করিয়ে নেওয়া এভাবে কিন্তু নিজেকে সাজিয়ে তোলার একটি দারুণ পূর্ব প্রস্তুতি নেওয়া যায়।
সকালের সাজ
প্রথমে ভালো করে মুখ পরিষ্কার করে নিন। আপনার মুখ তৈলাক্ত হলে দুই তিন মিনিট বরফ হাল্কা করে ঘষে নিন। বরফের পানি শুকিয়ে গেল মুখে এরপর ময়েশ্চারাইজার ক্রিম লাগিয়ে নিন। বেজ মেকআপের প্রথম ধাপ হলো একটি ভালো প্রাইমার ব্যবহার করা। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য যেকোনো মেটাল প্রাইমার ভালো কাজ করে। আর শুষ্ক ত্বকের জন্য ডিউই বা ময়েশ্চারাইজিং প্রাইমার প্রয়োজনীয়।
প্রাইমার দেওয়ার পর কনসিলার দিয়ে ডার্ক সার্কেলগুলো ঢেকে দিতে হবে। মুখের যে জায়গাগুলো সাধারণত একটু কালো দাগ বা স্বাভাবিক রঙের তুলনায় একটু গাঢ়, তা সমানভাবে মিলিয়ে নিতে কনসিলার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন চোখের নিচের কালো দাগ ও ঠোঁটের দুই পাশের অংশ।
তারপর ত্বকের ধরন অনুযায়ী প্রয়োজন ফাউন্ডেশনের। এ ক্ষেত্রেও তেলতেলে ও শুষ্ক ত্বকের ধরন অনুযায়ী ম্যাট ফাউন্ডেশন বা ময়েশ্চারাইজিং ফাউন্ডেশন বেছে নিতে হবে।
প্রাইমার ও কনসিলার দেওয়ার ২-৩ মিনিট পর ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন। এতে ভালো ফল পাবেন। এতে প্রাইমার ত্বকে ভালো করে মিশে যায়। আর ফাউন্ডেশনও ভালো ব্লেন্ড হয়।
ফাউন্ডেশনও বেছে নিতে হবে ত্বকের ধরন বুঝে। ত্বকের চেয়ে বেশি হালকা বা গাঢ় রঙের ফাউন্ডেশন সবসময়ই কৃত্রিম ভাব ফুটিয়ে তোলে।
ন্যাচারাল বেজ মেকআপের জন্য শেড মিলিয়ে নেওয়াটা খুব জরুরি। সমানভাবে মুখের সব জায়গার শেড মিলিয়ে নিতে হবে। ফাউন্ডেশনের চেয়ে এক শেড হালকা হবে কনসিলারেরটা। আপনার ত্বকে যদি কোনো অসামঞ্জস্য অথবা দাগ থাকে তাহলে সেটা এখনো দেখা যাবে, তাই এবার নিন কনছিলার। কনছিলার শুধু যেখানে অসামঞ্জস্য আছে সেখানে আর চোখের নিচে লাগিয়ে নিন। এটি আপনার চোখের নিচের কালো দাগ (যদি থাকে) এবং ত্বকের যাবতীয় অসামঞ্জস্য দূর করে আপনাকে খুব মসৃণ বেইজ তৈরি করে দেবে।
ফাউন্ডেশন কিংবা কনসিলার দুটোই নিখুঁত লাগে ব্লেন্ডিংয়ের ওপর। একটি বিউটি ব্লেন্ডারের মাধ্যমে চেপে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে যেন কোনো ছোপ ছোপ ভাব না থাকে। সব শেষে পাউডার দিয়ে তা সেট করে নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে লুজ পাউডার বা অন্য কোনো পাউডার ব্যবহার করা যেতে পারে।
প্রত্যেকটি মানুষেরই ফেইস শেইপ বা কাটিং আলাদা। নাক, চোখ, ঠোঁট- সবটাই ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। যার চেহারার গড়ন যেমনই হোক না কেন, সবাই কিন্তু চায় যে তাকে দেখতে আকর্ষণীয় লাগুক। নাক আমাদের ফেইসের সেন্টার-এ অবস্থিত হওয়ায় আমাদের সৌন্দর্য-এর অনেকটাই এর ওপরে নির্ভর করে। নাকের গড়ন একজনের থেকে অন্যজনের আলাদা হয়। কারও শার্প, কারও চওড়া, কারও খুব শার্পও না আবার চওড়াও না। যাদের নাক শার্প, তাদের দেখতে তো এমনিতেই সুন্দর লাগে। তবে যাদের নাক চওড়া ধরনের, তারাও তাদের নাককে শার্প দেখাতে পারবেন কিছু ট্রিকস ফলো করলেই।
যাদের নাক একটু চওড়া ধরনের, তার স্কিনে একটু ডার্ক টোনের ফাউন্ডেশন ব্যবহার করবেন। ডার্ক টোনের ফাউন্ডেশন বলতে স্কিনটোনের থেকে ২ শেড ডার্ক ফাউন্ডেশন নিলেই চলবে।
আমি পুরো ফেসে ডার্ক ফাউন্ডেশন লাগাতে বলছি না। জাস্ট চোখের ক্রিজ থেকে নাকের দুই পাশে এবং থুঁতনির নিচের দিকে ডার্ক ফাউন্ডেশন ব্যবহার করবেন। আবার নাকের হাড়ের ওপরে এবং নাকের দুই পাশে যেখানে ডার্ক ফাউন্ডেশন লাগিয়েছেন। তার পাশ থেকেই শুরু করে পুরো ফেসে নিজের স্কিনটোন অনুযায়ী ফাউন্ডেশন লাগান। সব কিছু ভালো করে ব্লেন্ড করতে ভুলবেন না যেন। এক্ষেত্রে ফ্ললেস ফিনিশিংয়ের জন্য বিউটি স্পঞ্জ ভালো কাজ দেবে।
নাক শার্প করার জন্য সব থেকে ইম্পরট্যান্ট স্টেপ হলো কন্ট্যুরিং। এই কন্ট্যুরিংয়ের মাধ্যমে নাকের চেহারা বদলে ফেলা সম্ভব। এক্ষেত্রে শুধু নাক কন্ট্যুর করলেই হবে না। চিকবোনের নিচে, কপালে এবং নাকে কন্ট্যুর করে নিলে জিনিসটা পারফেক্ট লাগবে। কন্ট্যুরিং পাউডার নিয়ে নাকের দুই পাশে লাগিয়ে নিন একটা ছোট ব্রাশের সাহায্যে এবং ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন। একইভাবে কন্ট্যুরিং ব্রাশের সাহায্যে চিকবোনের নিচে এবং কপালের হেয়ারলাইনের দিকে কন্ট্যুর করে নিন। চাইলে আগে ক্রিম কন্ট্যুরিং-ও করে নিতে পারেন। এরপর একটা শিমারী হাইলাইটার নিয়ে নোজ ব্রিজ-এ লাগিয়ে নিন। ব্যস!
সকালের দিকে মুখের সাজ হালকা রেখে চোখজোড়া আকর্ষণীয় করে সাজাতে পারেন। এ জন্য দুই রঙের কাজলের রেখা টানতে পারেন। চোখে কাজল খুব ভালো করে চোখের সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে৷ আর কাজলের রঙ দুটি পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে নিলেই ভালো। কাজল ব্যবহার করতে না চাইলে মাসকারা অথবা আইলাইনার ব্যবহার করতে পারেন। দিনের সাজে মাসকারা ঘন আর আইলাইনার হালকা হতে হবে৷ লিপস্টিক হতে হবে ঠোঁটের রঙের তুলনায় এক শেড গাঢ়। এ জন্য ম্যাট লিপস্টিক বেছে নিতে পারেন।
ব্লাশনের ক্ষেত্রে হালকা গোলাপি ছাড়া অন্য রঙ ব্যবহার না করাই ভালো।
সাজ যেহেতু হালকা, তাই গয়না ভারী হলে চেহারায় ছড়িয়ে পড়বে উৎসবের আমেজ৷ সকালের দিকে শাড়ি পরলে তার সঙ্গে সোনার গয়না ভালো মানাবে। সালোয়ার-কামিজ বা অন্য পোশাকের সঙ্গে সোনার গয়না না পরাই ভালো। এর পরিবর্তে রুপা বা মুক্তার গয়না পরতে পারেন। চুল সাজাতে পারেন নতুন সাজে। যাদের সোজা চুল, তারা চুল কার্লার দিয়ে কার্ল করে নিন৷ আবার হালকা কোঁকড়ানো চুল করে নিতে পারেন সোজা৷ যাদের চুল একটু লম্বা, তারা একটা মেসি বান করে নিতে পারেন।
দুপরের সাজ
দুপুরের সাজ সাধারণত বিকেল পর্যন্ত ক্যারি করা হয়। এদিকে গরমের দিন ঈদ হওয়ার কারণে দুপুরের আবহাওয়া সবচেয়ে বেশি উত্তপ্ত থাকবে, তাই অবশ্যই হালকা পোশাক পরতে হবে। তবে মুখের মেকাপ সকালের তুলনায় একটু গরজিয়াস করা যায়।সেই ক্ষেত্রে মুখ ভাল ভাবে পরিষ্কার করে বেস মেকাপ করে নিতে হবে । এরপর মুখে হাল্কা কন্ট্যুরিং করে নেয়া যায়।প্রত্যেকটি মানুষেরই ফেইস শেইপ বা কাটিং আলাদা। নাক, চোখ, ঠোঁট- সবটাই ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। যার চেহারার গড়ন যেমনই হোক না কেন, সবাই কিন্তু চায় যে তাকে দেখতে আকর্ষণীয় লাগুক। নাক আমাদের ফেইসের সেন্টার-এ অবস্থিত হওয়ায় আমাদের সৌন্দর্য-এর অনেকটাইয়ের ওপরে নির্ভর করে। নাকের গড়ন একজনের থেকে অন্যজনের আলাদা হয়। কারও শার্প, কারও চওড়া, কারও খুব শার্পও না আবার চওড়াও না। যাদের নাক শার্প, তাদের দেখতে তো এমনিতেই সুন্দর লাগে। তবে যাদের নাক চওড়া ধরনের, তারাও তাদের নাককে শার্প দেখাতে পারবেন কিছু ট্রিকস ফলো করলেই।
যাদের নাক একটু চওড়া ধরনের, তার স্কিনে একটু ডার্ক টোনের ফাউন্ডেশন ব্যবহার করবেন। ডার্ক টোনের ফাউন্ডেশন বলতে স্কিনটোন-এর থেকে ২ শেড ডার্ক ফাউন্ডেশন নিলেই চলবে।
আমি পুরো ফেইস-এ ডার্ক ফাউন্ডেশন লাগাতে বলছি না। জাস্ট চোখের ক্রিজ থেকে নাকের দুই পাশে এবং থুঁতনির নিচের দিকে ডার্ক ফাউন্ডেশন ব্যবহার করবেন। আবার নাকের হাড়ের উপরে এবং নাকের দুই পাশে যেখানে ডার্ক ফাউন্ডেশন লাগিয়েছেন। তার পাশ থেকেই শুরু করে পুরো ফেইস-এ নিজের স্কিনটোন অনুযায়ী ফাউন্ডেশন লাগান। সব কিছু ভালো করে ব্লেন্ড করতে ভুলবেন না যেন। এক্ষেত্রে ফ্ললেস ফিনিশিং-এর জন্য বিউটি স্পঞ্জ ভালো কাজ দেবে।
নাক শার্প করার জন্য সব থেকে ইম্পরট্যান্ট স্টেপ হলো কন্ট্যুরিং। এই কন্ট্যুরিংয়ের মাধ্যমে নাকের চেহারা বদলে ফেলা সম্ভব। এক্ষেত্রে শুধু নাক কন্ট্যুর করলেই হবে না। চিকবোনের নিচে, কপালে এবং নাকে কন্ট্যুর করে নিলে জিনিসটা পারফেক্ট লাগবে। কন্ট্যুরিং পাউডার নিয়ে নাকের দুই পাশে লাগিয়ে নিন একটা ছোট ব্রাশের সাহায্যে এবং ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন। একইভাবে কন্ট্যুরিং ব্রাশের সাহায্যে চিকবোনের নিচে এবং কপালের হেয়ারলাইন-এর দিকে কন্ট্যুর করে নিন। চাইলে আগে ক্রিম কন্ট্যুরিং-ও করে নিতে পারেন। এরপর একটা শিমারী হাইলাইটার নিয়ে নোজ ব্রিজ-এ লাগিয়ে নিন।
দুপরের সাজে চোখ না সাজালে হয়। তবে খুব বেশি ভারি যেন না হয়। চোখ সাজাতে প্রথমে চোখের উপর দিকটা প্রাইমার দিয়ে ভরতে হবে হালকা ভাবে। এর পর ফাউন্ডেশন অথবা কনসেলর দিয়ে ভরে দিন চোখের উপর দিকটিকে। তার পর সবচেয়ে হালকা রঙের আইশ্যাডো লাগান। এর পরে আপনি গাঢ় রং ব্যবহার করতে পারেন। এর পর আপনাকে কমলা রং দিয়ে ভরতে হবে চোখের উপর দিকটা। এবং কোনার দিকটায় দিতে হবে গাঢ় গোলাপি রং। চোখের নীচেও বেগনি রং দিয়ে ভরতে হবে একটি সরু ব্রাশ ব্যবহার করে। এর ঠিক পরেই আইলাইনার এবং মাসকারা দিয়ে চোখটি সুন্দর করে এঁকে ফেলুন। গালে হালকা নুড কালার ব্লাশন দিতে পারেন।
এবার চুল আপনার মনের মত করে রাখতে পারেন। চাইলে আধো খোপা বা অরধেক চুল পিছনের দিকে দিয়েও বাধতে পারেন। রাতের সাজঃরাতের বেলা হালকা গরম থাকলেও রোদের ঝামেলা নেই। তাই ঈদ উৎসবে রাতের সাজটা সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় কিংবা জমকালো করা যেতে পারে। ভারী কোনো পোশাক পরা যেতে পারে। যেমন: লেহেঙ্গা, গর্জিয়াস শাড়ি কিংবা অন্য যেকোনো ভারী কাজের পোশাক। রাতের মেকআপটা একদম আয়েশ করে করা যেতে পারে। স্কিন টোনের সঙ্গে মিলিয়ে মেকআপের সব কটি উপাদান ব্যবহার করা যেতে পারে, যার যার প্রয়োজনমতো।
রাতের সাজ
শুরুতেই বেইস মেকাপ দিয়ে নিতে হবে।এখন একটু লাইট ফাউন্ডেশন এপ্লাই করতে পারেন।এরপর মুখ ভালকরে কনট্যুর করে নিতে পারেন। মুখের কোন কোন লাইনে কনট্যুর করা হবে, তা ত্বকের চেয়ে এক শেড গাঢ় প্যানস্টিক, কনসিলার, পেনসিল বা লিকুইড ফাউন্ডেশন দিয়ে চিহ্নিত করে নিতে হবে। যেখানে প্রয়োজন সেসব জায়গায় কনট্যুরিং কিট ব্যবহার করবেন এবং তা ভালোমতো মিশিয়ে নেবেন। এই ধাপে কমপ্যাক্ট পাউডার, লুজ পাউডার দিয়ে কনট্যুর করা লাইন একটু মিশিয়ে নিতে পারেন। স্পঞ্জের সাহায্যে এটি করা যেতে পারে।
এরপর হবে চোখের সাজ। রাতে একটি গরজিয়াস লুবের জন্য স্মোকি আই লুক বেস্ট।
প্রথমে চোখের ওপর দিকটা প্রাইমার দিয়ে ভরতে হবে হালকা ভাবে। এরপর ফাউন্ডেশন অথবা কনসেলর দিয়ে ভরে দিন চোখের ওপর দিকটিকে। তার পর সবচেয়ে হালকা রঙের আইশ্যাডো লাগান।
স্মোকি আই লুক মেকআপ ইজ অল অ্যাবাউট ব্লেন্ডিং। ঠিক মতো আইশ্যাডোগুলো ব্লেন্ড না করলে লুকটা মোটেই ভালো লাগবে না। তাই যতক্ষণ হার্শ কোনো লাইন না বোঝা যায়, ততক্ষণ ব্লেন্ডিং করে যেতে হবে।) যখন আমরা কোনো ডার্ক স্মোকি আই মেকআপ করতে যাব, তখন চোখে আই প্রাইমারের পাশাপাশি একটা বেইজ কিন্তু মাস্ট। যেমন- ব্ল্যাক স্মোকি আই মেকআপ করতে চাইলে প্রথমে একটা ব্ল্যাক কাজল আই লিডে লাগিয়ে নিয়ে সেটা ব্লেন্ড করে নিবেন এরপর ব্ল্যাক আইশ্যাডো লাগাবেন। এতে করে আইশ্যাডোর কালার অনেক গাড় দেখা যায় এবং দেখতেও সুন্দর লাগে।
অনেক সময় দেখা যায় বেইজ মেকআপ করে ফেলার পর ভারি এবং ডার্ক স্মোকি কোনো আই লুক করতে গেলে আন্ডার আইটাও ডার্ক লাগে। এটা ডার্ক কালারের আইশ্যাডোগুলো ফল আউটের কারণে হতে পারে। তাহলে ডার্ক কোনো স্মোকি লুক করতে চাইলে আগে আই মেকআপ করে নিন। এরপর একটি মেকআপ ওয়াইপসের সাহায্যে ফল আউটগুলো ক্লিন করে নিয়ে বেইজ মেকআপ শুরু করুন। অনেক সময় দেখা যায়, স্মোকি আই মেকআপ ট্রাই করলে চোখগুলো ছোট মনে হয়। তাই যাদের ন্যাচারালি চোখ ছোট, তারা চোখের ওয়াটার লাইনে হোয়াইট/ন্যুড কালারের কাজল এবং চোখের ইনার কর্নারে হাইলাইটার লাগিয়ে নিতে পারেন। এতে করে চোখ দেখতে বড় এবং ওপেন মনে হবে। এবার এর সঙ্গে গ্লোসি লিপ্সটিক দিতে পারেন।জা আপনার সাজে পূর্ণতা এনে দেনে।