হলফনামায় ফৌজদারি মামলা ও আয়-ব্যয়ের তথ্য গোপন করায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শাহাদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আজ রোববার যাচাই-বাছাই শেষে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, শাহাদাত হোসেন মনোনয়নপত্রের সঙ্গে যে হলফনামা জমা দিয়েছেন, তাতে তিনি তার বিরুদ্ধে থাকা চারটি ফৌজদারি মামলার কথা উল্লেখ করেননি। এ ছাড়া ইলেভেন সি নামের ফরমে তিনি তার আয়-ব্যয়ের তথ্য উল্লেখ করেননি। তাই যাচাই-বাছাইয়ে তাঁর মনোনয়নপত্রটি বাতিল করা হয়েছে।
এদিকে এ প্রসঙ্গে শাহাদাত হোসেন বলেন, আমার জানামতে আমার বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ কারণে তিনিই হলফনামায় সেটি উল্লেখ করেননি। এ ছাড়া ১৩ নম্বর ফরমটি তিনি ভুলবশত জমা দেননি। তবে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করবেন।
মন্ত্রীর ছোট ভাই হলেও দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হন শাহাদাত হোসেন। তিনি ছাড়া এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বাকি তিন প্রার্থী সেতুমন্ত্রীর আরেক ভাই আবদুল কাদের মির্জার সমর্থিত প্রার্থী গোলাম শরীফ চৌধুরী, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান ও যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী আওয়ামী লীগ সমর্থক ওমর আলী। যাচাই-বাছাইয়ে তাদের তিনজনের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষিত হয়েছে।