ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের দেওয়া সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে ইসরায়েল-হামাসের মধ্যকার অবশিষ্ট মতভেদ দূর করা যেতে পারে বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার (৭ মে) এই কথা বলেছেন হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জন কিরবি। কায়রোতে বুধবার (৮ মে) এই বিষয়ক আলোচনা পুনরায় শুরু হবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরপরই এই কথা বলেন তিনি। খবর রয়টার্সের।
বুধবারের আলোচনাকে সামনে রেখেই মঙ্গলবার মিসরের সঙ্গে গাজার প্রধান দুটি ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। টানা সাত মাস ধরে চলা এই যুদ্ধে দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে ১০ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে গৃহহীন ও অনাহারী মানুষদের জন্য ত্রাণ সরবরাহের গুরুত্বপূর্ণ পথগুলো এখন বন্ধ রয়েছে।
কিরবি বলেছেন, হামাসের পুনর্মূল্যায়ন করা প্রস্তাবটিতে যে প্রস্তাবগুলো রাখা হয়েছে তা নিয়ে নতুন করে আলোচনার মাধ্যমে চুক্তিটির ঘাটতিগুলো ‘একেবারে ঠিক’ করা যাবে। তবে প্রস্তাবে উল্লেখিত সেসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।
মঙ্গলবার কায়রোতে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন হামাস, ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, মিসর এবং কাতারের প্রতিনিধিরা। অংশগ্রহণকারী পাঁচটি দলই এই আলোচনা বুধবার পুনরায় শুরু করার বিষয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
বুধবার কায়রো থেকে ইসরায়েল যাওয়ার কথা রয়েছে সিআইএ পরিচালক বিল বার্নসের। সেখানে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু এবং ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত একটি সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে।
সোমবার ইসরায়েল বলেছিল, মিসরের যে প্রস্তাবে হামাস রাজি হয়েছে সেটি ইসরায়েলের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা, মিসরের ওই প্রস্তাবে এমন কিছু সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়েছে যা ইসরায়েল মেনে নেবে না।