গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফটে আটকে থাকা অবস্থায় এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে কমিটি করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে এ ঘটনার পর দুপুরে কমিটি করা হয়।
মেডিকেল কলেজের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, হাসপাতালের লিফটে আটকে পড়া রোগীর মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক রুবিনা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে ওই কমিটিতে আছেন গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ও তার প্রতিনিধি হাসপাতালের রেসিডেন্সিয়াল মেডিসিন চিকিৎসক, ওয়ার্ড মাস্টার রয়েছেন। তিন কার্য দিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে আজ সকাল ১১টার দিকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লিফটে আটকে থাকা রোগী মমতাজ বেগম মারা যান। মমতাজ বেগম কাপাসিয়া উপজেলার বারিগাও গ্রামের শারফুদ্দিনের স্ত্রী।
তার মেয়ে শারমিন আক্তার বলেন, আমার মা সকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে সকাল ছয়টায় হাসপাতালে নিয়ে আসি। প্রথমে মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হয়। সেখানে পরীক্ষার পর জানা যায়, হার্টের কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। পরে হাসপাতালের ১১ তালা থেকে ৪ তলার হৃদরোগ বিভাগে নেয়ার কথা বলে। লিফটে উঠলে ৯ তলার মাঝামাঝি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় আমি, আমার মামা, ভাইসহ কয়েকজন মাকে নিয়ে ভেতরে ছিলাম। আমাদের দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। আমরা লিফটে থাকা তিনজন লিফটম্যানের নম্বরে কল দিই। তারা গাফিলতি করেন। ফোনে আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন।
শারমিন আক্তারের অভিযোগ, ৪৫ মিনিট আমরা ভেতরে ছিলাম। উপায় না পেয়ে ৯৯৯–এ ফোন দিই। ফোন পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এসে উদ্ধার করে। লিফটম্যানদের গাফিলতির কারণে আমার মায়ের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে কোনো দায়িত্ববোধ নেই।