‘মধুর আমার মায়ের হাসি, চাঁদের মুখে ঝরে, মাকে মনে পড়ে আমার মাকে মনে পড়ে’- আজ বিশ্ব মা দিবস। এ দিবসে যেন মায়ের মুখটা একটু বেশিই মনে পড়ে, বিশেষ করে যারা সদ্য মা হারিয়েছেন। বিশেষ এ দিনে বেশকয়েকজন তারকা স্মরণ করেছেন তাদের হারানো মাকে।
চার বছর আগে মাকে হারিয়েছেন ঢালিউডের অন্যতম নায়িকা অপু বিশ্বাস। মা দিবসে মাকে নিয়ে তার অনুভূতি শেয়ার করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মায়ের স্মৃতিতে মায়ের ছবি পোস্ট করে অপু লিখেছেন, ‘মা বলতেন তার চোখে পৃথিবী বিশ্ব সুন্দরী তার মা আর আমি বলতাম আমার চোখে বেশি সুন্দরী তুমি মা’
এছাড়া সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী, মাকে নিয়ে এ নায়িকা বলেন, আমি অপু বিশ্বাস হতে পেরেছি মায়ের জন্যই। যখনই সফলতা পেয়েছি, মায়ের সঙ্গে শেয়ার করেছি, কষ্ট পেলেও তাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছি।
ছোটবেলায় মাকে হারিয়েছেন ঢালিউডের আলোচিত নায়িকা পরীমণি। এই দিনে মাকে মিস করলেও নিজের সন্তানদের নিয়েই খুশি খুঁজেন পরী। ছেলে রাজ্যর পরে সম্প্রতি তিনি একটি কন্যাসন্তানকে দত্তক নিয়েছেন পরীমণি।
মা দিবসের বিশেষ দিনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুই সন্তানের মা হিসেবে নিজের মাতৃত্বকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।
পরী তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘হ্যাপি মাদার্সডে টু মি ! আমার জীবনের একান্ত নিজের দুজন মানুষ। আমার বাচ্চারা তোমরা আমার চোখ জুড়ে থাকো। আমার বুক জুড়ে থাকো। আমি তোমাদের অনেক ভালোবাসি।’
চলতি বছরের ২৪ মার্চ সকালে মিরপুরের নিজ বাসায় মৃত্যুবরণ করেন পূজা চেরির মা ঝর্ণা রায়। মাকে হারানোর বেদনা এখনও সামলাতে পারেননি অভিনেত্রী। মা দিবস যেন সে বেদনার ক্ষত আরও বাড়িয়ে দিলো নায়িকার মনে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই মায়ের জন্য কাঁদছেন পূজা।
ফেসবুকে মায়ের সঙ্গে নিজের একটি ছবি পোস্ট করে পূজা লেখেন, ‘ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল মা। মামুনি দেখেছো? তুমি কি পচা কাজ করেছো, সকালে ঘুম থেকে উঠেই অঝরে চোখ থেকে জল পরতে দিলে! সারা জীবনই তো এই জল পরবে গো মা। কি করে থামাবো?’
পূজা আরও লেখেন, ‘উফ খুব কষ্ট হচ্ছে মামুনি। আর লিখতে পারছি না। বুকটা ফেটে যাচ্ছে। ভালো থেকো মামুনি আর মনে রেখো, তোমার হাতের লাঠিটা অনেক মিস করি... অনেক অনেক অনেক।’
এবছরের ৫ মার্চ দীর্ঘদিনের অসুস্থ মাকে হারিয়েছেন অভিনেতা বাপ্পী চৌধুরী। আজ বিশ্ব মা দিবসে যেন অনেক বেশি মাকে মনে পড়ছে বাপ্পীর।
সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী, বাপ্পী বলেন, ‘জীবদ্দশায় এই দিবসগুলো অতটা বুঝতেন না মা।
আমি প্রতি ঘণ্টায় তাকে বলতাম, হ্যাপি মাদারস ডে। আর মা আমাকে বকা দিতেন। এই দিনটা খুব স্পেশাল ছিল আমার কাছে। কাজ রাখতাম না। কেক কাটতাম, মাকে গিফট দেওয়ার চেষ্টা করতাম।
খুব অল্পতে খুশি হয়ে যেতেন মা। এবার প্রথম দিবসটিতে আমার পাশে মা নেই। ভাবতেই পারছি না মা ছাড়া দিনটি কিভাবে কাটাব।
মা দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন, তাকে বাঁচিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলাম আমরা, পারলাম না। এই কষ্ট সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হবে।
আজ সারা দিন মায়ের সঙ্গে আমার সুখের স্মৃতিগুলো মনে করার চেষ্টা করব, আর সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করব। মা যেখানেই থাকুন যেন আমার ভালোবাসা অনুভব করতে পারেন—ঈশ্বরের কাছে সেই কামনা করি।