অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বগুড়ার শেরপুর পৌরসভার মেয়র জানে আলম খোকাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। রোববার (১২ মে) স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শেরপুর পৌরসভার মেয়র জানে আলম খোকা বিধিবহির্ভূত বাস টার্মিনালের ২০২০ এবং ২০২১ সালে ইজারা মওকুফ, অনিয়মতান্ত্রিকভাবে মাস্টাররোলে কর্মচারী নিয়োগ, জিপ গাড়ি মেরামতের নামে অতিরিক্ত বিল প্রদান, ২২৮টি দোকান বরাদ্দ প্রদান না করা, পৌরসভার বিভিন্ন ক্রয়ে দুর্নীতি ও অনিয়ম, পৌরসভার গৃহকর অ্যাসেসমেন্টে দুর্নীতি, ইমারত ও ভূমির ওপর অতিরিক্ত কর আদায় সংক্রান্ত আনা অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। অভিযোগসমূহ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার তাকে মেয়র পদ হতে অপসারণের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০০৯ এর ধারা ৩১ (১) অনুযায়ী কোনো পৌরসভার মেয়রের বিরুদ্ধে অপসারণের কার্যক্রম শুরু করা হলে অথবা ফৌজদারি মামলার অভিযোগপত্র বিজ্ঞ আদালতে গৃহিত হলে, সেক্ষেত্রে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের বিবেচনায় মেয়র কর্তৃক ক্ষমতা প্রয়োগ পৌরসভার স্বার্থের পরিপন্থী অথবা প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে। সেতুতে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০০৯ এর ধারা ৩১ (১) অনুযায়ী শেরপুর পৌরসভার মেয়র জানে আলম খোকাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে মর্মে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে একইদিনে অপর আরেক প্রজ্ঞাপনে পৌরসভার প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কাজের সুবিধার্থে ‘মেয়রের আর্থিক ক্ষমতা’ পৌরসভার প্যানেল-১ মেয়র নাজমুল আলম খোকনকে অর্পন করা হয়।
জানতে চাইলে শেরপুর পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইমরোজ মুজিব বলেন, প্রজ্ঞাপনের বিষয়টি শুনেছি। তবে চিঠিটি এখনো হাতে পাইনি।
এদিকে সদ্য বরখাস্ত হওয়া পৌর মেয়র জানে আলম খোকা বলেন, অনলাইনে জারি করা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বরখাস্তের বিষয়টি জেনেছি। সেখানে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সঠিক নয়। প্রজ্ঞাপনের চিঠি হাতে পেলে পরবর্তীতে পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান তিনি।