ইউক্রেনের প্রতি সংহতি জানাতে কিয়েভ গিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। মঙ্গলবার (১৪ মে) ভোরে ট্রেনে চড়ে কিয়েভ পৌঁছেন তিনি। ব্লিঙ্কেন জানান, ইউক্রেনের পথে রয়েছে মার্কিন সামরিক সহযোগিতা। এসব অস্ত্র যুদ্ধক্ষেত্রে প্রকৃত পার্থক্য গড়ে দেবে। খবর রয়টার্সের।
রাশিয়ার জোরালো আক্রমণের মুখে থাকা ইউক্রেনকে মার্কিন সহযোগিতার বিষয়ে আশ্বস্ত করতেই তিনি এই অঘোষিত সফর করছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পর ব্লিঙ্কেন বলেন, আমরা জানি এটি কঠিন সময়। যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার চলমান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মার্কিন সামরিক সহযোগিতা প্রকৃত পার্থক্য গড়ে দেবে।
গত মাসে ইউক্রেনের জন্য জন্য ৬০০ কোটি ডলার মূল্যের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সহযোগিতা অনুমোদন করেছে মার্কিন কংগ্রেস। এই সংক্রান্ত বিলটি কংগ্রেসে আটকে পড়ায় ইউক্রেনের গোলাবারুদের ঘাটতি পড়েছিল।
ব্লিঙ্কেন বলেছেন, কিছু সহযোগিতা পথে রয়েছে এবং কিছু ইতোমধ্যে ইউক্রেনে পৌঁছে গেছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর কিয়েভে এটি ব্লিঙ্কেনের চতুর্থ সফর। তিনি কিয়েভে পৌঁছানোর আগে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জেলেনস্কিসহ শীর্ষ ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে রণক্ষেত্রের অগ্রগতি, নতুন মার্কিন নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা, দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা ও অন্যান্য প্রতিশ্রুতি এবং ইউক্রেনীয় অর্থনীতি পুনরুদ্ধার জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করবেন।
২০২৩ সালে কিয়েভের পাল্টা আক্রমণ ব্যর্থ হওয়ার পর ইউক্রেনের প্রায় ১৮ শতাংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রাশিয়া। শুক্রবার ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভের কাছে চলে এসেছে রুশ সেনারা।