শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
The Daily Ittefaq

পূর্ব শত্রুতার জেরে যুবককে হত্যা, গ্রেপ্তার ২

আপডেট : ১৪ মে ২০২৪, ২২:০৪

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের দেড়কোটা গ্রামে পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ছালেহ আহম্মেদ (৩৭) নামে এক যুবক নিহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত ছালেহ আহম্মেদ দেড়কোটা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। 

এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে থানায় মামলা করলে পুলিশ মনোয়ারা বেগম এবং শাহিনা আক্তার নামের দুই নারীকে আটক করেছে। মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি ত্রিনাথ সাহা।

জানা গেছে, উপজেলা মুন্সিরহাট ইউনিয়নের দেড়কোটা গ্রামের ব্যাপারী বাড়ির আবুল কাশেমের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে তার ভাগিনা জামাল উদ্দিন ও মহিন উদ্দিনের বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে সোমবার সন্ধ্যায় উঠান ঝাড়ু দেওয়াকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় ছালেহ আহম্মেদকে জামাল উদ্দিন ও মহিন উদ্দিন গং এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসলে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা নিহতের বাবা আবুল কাশেম ও ছোট ভাই আব্দুল মতিনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় গ্রামবাসীরা তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছালেহ আহম্মেদকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত ছালেহ আহম্মেদের বাবা আবুল কাশেম ইত্তেফাককে জানান, জামাল উদ্দিন ও মহিন উদ্দিন সম্পর্কে আমার ভাগিনা হয়। সম্পত্তি নিয়ে তাদের সঙ্গে আমার পূর্ববিরোধ চলে আসছে। সোমবার সন্ধ্যায় আমার প্রতিবন্ধী মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস উঠান ঝাড়ু দেওয়ার সময় জামাল উদ্দিন, মহিন উদ্দিন ও মনোয়ারা বেগম আমার মেয়েকে মারধর শুরু করে। এ সময় ছালেহ আহম্মেদ বাধা দিতে এলে তারা ধারালো ছুরি দিয়ে তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। আমি এবং আমার ছোট ছেলে আব্দুুল মতিন তাকে উদ্বার করতে এগিয়ে আসলে তারা আমাদেরকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। তাদের চুরিকাঘাতে আমার ছেলে ছালেহ আহম্মেদ মারা যায়। 

নিহত ছালেহ আহাম্মদের মা নাসিমা বলেন, আমার চোখের সামনেই জামাল উদ্দিন, মহি উদ্দিন ও মনোয়ারা বেগম আমার ছেলেকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানাই।

চৌদ্দগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আবুল হাসেম সবুজ বলেন, ছালেহ আহম্মেদের তলপেটে এবং হাতে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

চৌদ্দগ্রাম থানার ত্রিনাথ সাহা বলেন, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে মনোয়ারা বেগম ও শাহেনা আক্তারকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ অপর দুই আসামিকে গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

ইত্তেফাক/পিও