প্রচন্ড গরমে এক পশমা বৃষ্টির চেয়ে স্বস্তিদায়ক আর কী হতে পারে। স্বস্তির সঙ্গে কিন্তু বিপর্যয়ের শঙ্কাও আছে। সম্প্রতি বজ্রপাতে মৃত্যুর হার বাড়ছে। কেউ মারা না গেলেও তাদের পক্ষাঘাতগ্রস্তের জীবনযাপন করতে হয়। বজ্রপাতের বিষয়ে এখনও কোনো সতর্কতা না পাওয়া গেলেও কিভাবে এ সময় নিজেদের নিরাপদ রাখা যায় জানা জরুরি।
ঘরে আশ্রয় নিন
বাজ পড়ার সময় ঘরের বাইরে থাকলে অবশ্যই ছাদ আছে এমন কোনো জায়গায় আশ্রয় নিন। আপনি যদি রাস্তায় থাকেন তাহলে বাড়িঘরের কাছাকাছি কোথাও আশ্রয় নিন তবে উন্মুক্ত জায়গায় মোটেও নয়।
খোলা জায়গায় থাকলে
একান্তই খোলা জায়গায় থাকলে কী করবেন? বাজ পড়ার সময় যতটা সম্ভব নিজেকে সঙ্কুচিত করে বা কুঁজো হয়ে মাটিতে বসে পড়লে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। না শুয়ে যতটা সম্ভব নিচু হয়ে মাটির কাছাকাছি থাকলেও বাজের কবল থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে। তবে বজ্রপাতের সময় গাছের তলায় আশ্রয় নেবেন না। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুতুলনাচের ইতিকথার গল্প মনে আছে? ঈশ্বর কটাক্ষ করে চাইলেই বিপদ।
জলাশয়ে থাকলে
বজ্রপাতের সময় আপনি যদি ছোট কোনও পুকুরে সাঁতার কাটেন বা জলাবদ্ধ স্থানে থাকেন, তা হলে সেখান থেকে সরে পড়ুন। পানি খুব ভালো বিদ্যুৎ পরিবাহী, তাই সাবধান।
বৈদ্যুতিক খুঁটির নিচে নয়
কোথাও বজ্রপাত হলে বিদ্যুতের খুঁটিতে বজ্রপাতের সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই এসব স্থানে আশ্রয় নেবেন না। বজ্রপাতের সময় গাড়ির ভেতরে থাকলে সম্ভব হলে গাড়িটি নিয়ে কোনও কংক্রিটের ছাউনির নীচে আশ্রয় নিন। গাড়ির ভেতরের ধাতব বস্তু স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন। ওই সময় গাড়ির কাচেও হাত দেবেন না।