বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১
The Daily Ittefaq

২১ দিন পর ফের জেলে কেজরিওয়াল

আপডেট : ০৩ জুন ২০২৪, ১০:১৪

২১ দিন বাইরে থাকার পর রবিবার বিকেলে তিহার জেলে আত্মসমর্পণ করলেন ভারতের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির (আপ) নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তবে জেলে যাওয়ার আগে তিনি রাজঘাট, হনুমান মন্দির ও আপের সদর দপ্তর ঘুরে যান। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, আপের সদর দপ্তর থেকে কেজরি বলেন, ‘২১ দিনের মধ্যে আমি এক মিনিটও নষ্ট করিনি।’ অন্যদিকে দিল্লি আদালত জেল হেফাজতের মেয়াদ ৫ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছেন।

লোকসভা ভোটের কারণে সুপ্রিম কোর্ট কেজরিওয়ালের অন্তর্বর্তিকালীন জামিন মঞ্জুর করেছিলেন। পাশাপাশি দেওয়া হয়েছিল কিছু শর্ত। সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য ছিল, জামিনে মুক্তি পাওয়া ২১ দিনে কেজরিওয়াল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর ভবন কিংবা সচিবালয়ে যেতে পারবেন না। তার বিরুদ্ধে চলা মামলা নিয়ে কোথাও কোনো মন্তব্য করতেও নিষেধ করা হয়েছিল তাকে। জামিনে মুক্তি পেয়ে জেল থেকে বেরিয়ে দলের হয়ে টানা প্রচার করেছেন তিনি।

স্থানীয় সময় রবিবার দুপুর ৩টা নাগাদ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তার বাসভবন থেকে বের হন। সেখান থেকে সোজা চলে যান রাজঘাটে। মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধে মালা দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। তারপর হনুমান মন্দির ঘুরে যান আপের সদর দপ্তরে। সেখানে তাকে দেখার জন্য ভিড় করেছিলেন আপের কর্মী-সমর্থকরা। তাদের উদ্দেশে কেজরি বলেন, ‘আমি ২১ দিনের এক মিনিটও নষ্ট করিনি। আমি সব দলের হয়ে প্রচার করেছি।
আমি দেশকে বাঁচানোর জন্য প্রচার সেরেছি। দেশ আগে, তারপর আমার দল।’

এখানেই থেমে থাকেননি কেজরি। তিনি আরো বলেন, ‘প্রচার অভিযানের সময় সবচেয়ে ভালো জিনিস যেটা ঘটেছে, সেটা হলো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বীকার করেছেন, আমার বিরুদ্ধে তার কাছে কোনো প্রমাণ নেই। এটা একনায়কত্ব। যাকে ইচ্ছে জেলে ঢুকিয়ে এই বার্তাই দেওয়ার চেষ্টা চলছে, যখন কেজরিওয়ালকে জেলে রাখা যায়, তো যে কাউকে জেলে ঢোকানো সম্ভব।’

এদিন কেজরিওয়ালের সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী সুনীতা, দিল্লির মন্ত্রী অতিশী মারলেনা, কৈলাশ গৌহলত, সৌরভ ভরদ্বাজ। আরো ছিলেন রাজ্যসভার সংসদ সদস্য সঞ্জয় সিং, সন্দীপ পাঠক, দলীয় নেতা দুর্গেশ পাঠকসহ অন্যরা।

গণমাধ্যমটির তথ্য অনুসারে, দিল্লির ‘আবগারি দুর্নীতিকাণ্ডে’ গত ২১ মার্চ কেজরি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। গত ১০ মে আপপ্রধানকে লোকসভা ভোটের প্রচারে সুযোগ দিতে ১ মে পর্যন্ত অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেন শীর্ষ আদালত। জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেজরি। তার আবেদন ছিল, পিইটি-সিটি স্ক্যানসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক পরীক্ষার জন্য জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হোক।

ইত্তেফাক/এএইচপি