ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার কাতিহার এলাকায় ইটভাটার মাটির স্তুপে ‘সোনা পাওয়া’ সংশ্লিষ্ট সংবাদের প্রেক্ষিতে অবশেষে ভূতাত্ত্বিক অধিদপ্তর থেকে দুই সদস্যের একটি অনুসন্ধান দল ঘটনাস্থলে এসেছে। তারা সেখানে তিনদিন অবস্থান করে মাটি পরীক্ষা করবেন।
মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুরে অনুসন্ধান দলের সদস্য সহকারী পরিচালক (ভূতত্ত্ব) আনোয়ার সাদাৎ মুহাম্মদ সায়েম ও সহকারী পরিচালক (ভূতত্ত্ব) মোহাম্মদ আল রাজী রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান ও ইউপি চেয়ারম্যান জীতেন্দ্রনাথ বর্মণকে সঙ্গে নিয়ে এ পরীক্ষা ও অনুসন্ধান কার্যক্রম চালান।
অনুসন্ধান দলের সদস্যরা এদিন আরবিবি ইটভাটায় রক্ষিত মাটির স্তুপ, শ্যামরাই মন্দিরের পার্শ্ববর্তী জমি ও পীরগঞ্জ উপজেলার নানাহার পুকুরের পাশের জমি থেকে মাটির নমুনা সংগ্রহ করেন।
এ বিষয়ে অনুসন্ধান দলের সদস্য আনোয়ার সাদাৎ মুহাম্মদ সায়েম বলেন, ‘আজ আমরা এ এলাকার তিনটি স্থানের মাটির নমুনা সংগ্রহ করেছি। এই মাটি পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট ল্যাবরেটরিতে জমা দেওয়া হবে।’
সংগৃহীত মাটি অনুযায়ী এসব স্থানে সোনা থাকার সম্ভাবনা আছে কি-না এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ মাটিতে সোনা থাকার সম্ভাবনা নেই। তবে প্রত্নতাত্ত্বিকভাবে গুপ্তধন আকারে দেশের যে কোনো স্থানে সোনা থাকতে পারে।’
প্রসঙ্গত, কিছুদিন ধরে কাতিহার এলাকায় আরবিবি ইটভাটার মাটির ঢিবিতে সোনা পাওয়ার আশায় হাজার হাজার মানুষ মাটি খোঁড়ার কাজে ছুটে এসেছিল। কেউ কেউ সোনার টুকরো, চাকতি ইত্যাদি পেয়েছে বলেও শোনা গিয়েছিল। তবে কেউ সোনা পাওয়ার বিষয়টি প্রমাণ করতে পারেনি।