যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হার ও প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে বড় হারে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ দল। তবে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে লঙ্কানদের বিপক্ষে জয়ের পর আবারও নিজেদের আত্মবিশ্বাস ফিরে পান টাইগারা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই ম্যাচে বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। চার ওভার বলে করে ২২ রান দিয়ে তুলে নেন গুরুত্বপূর্ণ তিন উইকেট। সেই সঙ্গে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও তৈরি করেন এই লেগ স্পিনার।
রিশাদের এমন পারফরম্যান্সে খুশি জাতীয় দলের সাবেক প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। কেননা তার হাত ধরে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পান এই লেগি। গতকাল গণমাধ্যমকে জাতীয় দলের এই সাবেক প্রধান নির্বাচক জানান, রিশাদকে দলে সুযোগ দিতে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়েছে তাদের। নান্নু বলেন, ‘এই রিশাদকে নিয়ে আমাদের নির্বাচক প্যানেলকে কত যুদ্ধ করতে হয়েছে, এই ছেলেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। এইগুলো নিয়ে অনেক ধরনের কথা মানুষ থেকে শুনতে হয়েছিল। এমনকি আমাদের অনেক কোচেরাও সাহস করেনি ওকে (রিশাদ) খেলানোর জন্য। সেই হিসেবে সব বাধা ডিঙিয়ে ওকে একটা পর্যায়ে আমরা এনে দিয়েছি। রিশাদ এখন ট্রাম্পকার্ড।’
এছাড়াও রিশাদ হোসেনকে জাতীয় দলে সুযোগ দিতে হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে থেকে সবুজ সংকেত পান নির্বাচকরা। এই নিয়ে নান্নু বলেন, ‘হাথুরুসিংহে আমাদের যথেষ্ট সাহস দিয়েছে। এ রকম একটা বোলারকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। সবকিছু মিলিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট ও আমাদের সময় আমরা নির্বাচক প্যানেল সবাই একসঙ্গে কাজ করে ছেলেটাকে প্রতিষ্ঠিত করেছি। এখন ওর দেশকে দেওয়ার পালা। যদি ধারাবাহিকভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারে তাহলে দেশকে আরও কিছু দিতে পারবে। এমনকি সামনের ম্যাচেও ট্রাম্পকার্ড হিসেবে কাজ করতে পারে।’
বাংলাদেশে কোনো খেলোয়াড় ভালো কিংবা খারাপ করলে তাকে নিয়ে শুরু হয় নানান আলোচনা-সমালোচনা। রিশাদকে নিয়ে বর্তমানে দেশের ক্রিকেট অঙ্গনে চলছে আলোচনা। পাচ্ছেন বাহবা। তবে এসবের পক্ষে নন সাবেক প্রধান নির্বাচক। এই নিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনি দেখেন আমরা যে কোনো একটা সময় যে কোনো একটা খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্স নিয়ে যথেষ্ট হাততালি দেওয়া শুরু করি। কিন্তু সবকিছুর সীমা থাকা উচিত। আমরা চাই, একটা খেলোয়াড় যেন সর্বনিম্ন ১০ বছর দেশকে সার্ভিস দিতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে দেশকে সার্ভিস দিতে পারে এমন চিন্তা করে ছেলেটাকে খেলতে দিন। এমন কোনো কিছু করবেন না যাতে আবারও তার পারফরম্যান্স নিয়ে টানাটানি শুরু হয়। কারণ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ধারাবাহিকতা ধরে রাখা অনেক অনেক কঠিন।’