বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

ওয়াসার এমডির সঙ্গে দ্বন্দ্ব, ডিএমডির চাকরি ফেরত দিলেন হাইকোর্ট

আপডেট : ১০ জুন ২০২৪, ১৭:৪২

ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের বিরুদ্ধে সংস্থাটির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ড. সৈয়দ গোলাম মোহাম্মদ ইয়াজদানির চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্তকে অবৈধ উল্লেখ করে তা বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে তাকে স্বপদে বহাল ছাড়াও যাবতীয় পাওনা পরিশোধ করতে বলেছেন আদালত।

এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে সোমবার (১০ জুন) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। এদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবীর পল্লব।

ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান

২০২৩ সালের ২২ জুন ড. সৈয়দ গোলাম মোহাম্মদ ইয়াজদানিকে বোর্ডের ৩০৫তম সভায় অব্যাহতি দেয়া হয়। পরে ১৬ জুলাই ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের বিরুদ্ধে সংস্থাটির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ড. সৈয়দ গোলাম মোহাম্মদ ইয়াজদানিকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. সুজিত কুমার বালা সে সময় এ তথ্য জানিয়েছিলেন। ওইসময় তিনি বলেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) সঙ্গে ডিএমডির ঠিক বনিবনা হচ্ছিল না। বনিবনা না হলে অনেক কাজে সমস্যা হয়। ওয়াসার স্বার্থেই বোর্ড তাকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিছুদিন ধরেই ডিএমডির সঙ্গে ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের দূরত্ব তৈরি হয়। এমডির কিছু সিদ্ধান্তের বিষয়ে বাধা হয়ে দাঁড়ান ড. ইয়াজদানি।

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান ও সংস্থাটির বোর্ড চেয়ারম্যান প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা। ছবি: সংগৃহীত

এ অবস্থায় বোর্ডের ৩০৪তম সভার এজেন্ডা হিসেবে ইয়াজদানির অব্যাহতির প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ওই সভায় বোর্ড সদস্যরা আপত্তি জানান। তারা বলেন, একজনকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য নয়। এরপর বোর্ডসভায় এমডি ও চেয়ারম্যান বোর্ড সদস্যদের মতামত গুরুত্ব না দিয়ে ইয়াজদানিকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

পরবর্তীতে এ বিষয়ে গোলাম মোহাম্মদ ইয়াজদানি বলেন, আমি কিছু বলতে চাই না। যারা বোর্ডের সদস্য রয়েছেন তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তাহলেই জানতে পারবেন।

ওয়াসার ডিএমডি ড. সৈয়দ গোলাম মোহাম্মদ ইয়াজদানি

২০২২ সালের ১৬ মে ড. গোলাম মোহাম্মদ ইয়াজদানিকে ডিএমডি (মানবসম্পদ ও প্রশাসন) পদে নিয়োগ দেয় ওয়াসা বোর্ড। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী, একজন ডিএমডির ৩ বছর দায়িত্ব পালনের কথা। সে অনুযায়ী ২০২৫ সালের ১৫ মে পর্যন্ত তার দায়িত্ব পালনের কথা ছিল। কিন্তু কিছু অসঙ্গতির বিষয়ে আপত্তি দেয়ায় ইয়াজদানি ওয়াসা প্রশাসনের বিরাগভাজন হন। ইয়াজদানির এমন আচরণে ক্ষুব্ধ হন এমডি তাকসিম এ খান। এমন বক্তব্য দেয়ার আইনি অধিকার নেই বলেও তাকে জনিয়ে দেন এমডি। এরপরই ডিএমডির পদ থেকে চাকরিচ্যুত হন তিনি। পরে এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন ইয়াজদানি।

ইত্তেফাক/এনএ