বরগুনার পাথরঘাটায় মাছের ঘেরের সঙ্গে বিষখালী নদীতে করা পানির পাইপলাইনে আটকে পড়ে জসিম উদ্দিন (৩৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুর ১২টার দিকে কালমেঘা ইউনিয়নের কূপধন এলাকায় বিষখালী নদীর পাড়ে কিসলু মিয়া মালিকানাধীন একটি মাছের ঘের ও মুরগীর ফার্মে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জসিম উদ্দিন কাকচিড়া ইউনিয়নের বাইনচটকি এলাকার কবির হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, মুরগীর ফার্মে কাজ শেষ করে মাছের ঘেরে খাবার দিয়ে পার্শ্ববর্তী বিষখালী নদীতে গোসল করতে যান জসিম। নদীর সঙ্গে বেরিবাঁধ কেটে ঘেরের সাথে একটি মোটা পাইপ লাগানো ছিল, যাতে সহজে ঘেরের মধ্যে পানি ওঠানামা করতে পারে। জসিম নদীতে গোসল করতে গেলে স্রোতের টানে পাইপের ভিতর ডুকে যায়। অপর প্রান্তে জাল থাকায় কারণে আটকে যান তিনি।
পরবর্তীতে স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় জাল খুলে জসিমের লাশ বের করা হয়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন হোসেন পল্টু অভিযোগ করে বলেন, ‘কিসলু মিয়া অবৈধভাবে ইটের ভাটা করে বিষখালী নদীর পাড়ের অনেকগুলো জমি দখল করে নিয়েছে। ও বেড়িবাঁধ কেটে ইট তৈরি করছে। এছাড়া অনেক জমি দখল করে মাছের ঘের তৈরি করেছে সে। এবং সেই ঘেরে বেড়িবাঁধ কেটে পানির পাইপ লাইন করেছে যেটি একটি মরণফাঁদ। আর সেই মরণফাঁদে জসিম উদ্দিন নামে এক কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে।’
বিষয়টি তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিসহ অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদের দাবি জানান ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টু।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার ওসি আল মামুন জানান, আমরা লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছি৷ অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।