বাংলাদেশ সরকার নিবন্ধিত দাতব্য প্রতিষ্ঠান মাস্তুল ফাউন্ডেশনের অধীনস্থ মাস্তুল এতিমখানা ও শেল্টারহোমে খেজুর উপহার পাঠিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মাস্তুল এতিমখানা ও শেল্টারহোমে বসবাসরত শতাধিক পিতামাতাহীন শিশুদের জন্য উপহার হিসেবে তিনি ১ টন খেজুর পাঠান।
এতিমখানার বাচ্চা এবং স্কুলের বাচ্চাদের জন্য পাঠানো এসকল উপহার পেয়ে খুশিতে আত্মহারা শেল্টারহোমে বসবাসরত শতাধিক শিশু।
মাস্তুল ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘মাস্তুল এতিমখানা ও শেল্টারহোম’, যেখানে বর্তমানে শতাধিক পিতামাতাহীন শিশুদের বসবাস। তাদের জীবনে একটুখানি খুশির আমেজ বয়ে আনার আয়োজনে পূর্বেও অংশ নিয়েছিলেন ড. হাছান মাহমুদ। গতবছর নিজ পরিবারের সাথে স্বশরীরে উপস্থিত হয়েছিলেন মাস্তুল এতিমখানা ও শেল্টারহোমে, উপহার দিয়ে একসাথে সময় কাটিয়েছেন সব শিশুদের সাথে।
এতিমখানায় বসবাসরত ১০ বছরের শিশু হালিম বলেন, খেজুর আমার অনেক পছন্দের। আমি প্রতিদিন ফজরে নামাজ পড়ে পড়তে বসলে শিক্ষক আমাকে একবাটি মুড়ি খেতে দেই। শুধু মুখে মুড়ি খেতে ভাল লাগে না। এখন শিক্ষক বলছে, আমাকে মুড়ির সাথে খেজুর দিবে।
এতিমখানার কো-অর্ডিনেটর রাকিব বলেন, এতিমখানাটি পরিচালিত হয় দাতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহযোগিতায়। বাচ্চাদের কারো বাবা-মা না থাকায় তাদের আপনজন বলতে তেমন কেউ নেই। তাদের সব চাহিদা সবসময় পূরণ করা আমাদের পক্ষেও সম্ভব হয় না। ধন্যবাদ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাচ্চাদের কথা মনে রেখে তাদের জন্য উপহার পাঠানোর জন্য।
উল্লেখ্য, মাস্তুল ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিবন্ধিত দাতব্য প্রতিষ্ঠান। মাস্তুলের প্রধান কাজের মধ্যে রয়েছে দাফন-কাফন সেবা প্রজেক্ট, যার মাধ্যমে করোনার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তিন হাজারের অধিক লাশ দাফন হয়েছে। মাস্তুলের রয়েছে নিজস্ব স্কুল, মাদ্রাসা এবং শেল্টারহোম। এর বাইরেও নানান স্কুলে হাজারের অধিক সুবিধাবঞ্চিত মেধাবী শিক্ষার্থীদের সকল শিক্ষার উপকরণ দেয়ার পাশাপাশি নিশ্চিত করা হচ্ছে স্বাস্থ্য, পুষ্টিকর খাবার, শিশু অধিকার ও মৌলিক চাহিদা।
এছাড়াও মাস্তুল ফাউন্ডেশনের রয়েছে সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র যার মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে কর্মক্ষম করে তোলা হচ্ছে। এর বাহিরে যাকাত স্বাবলম্বী প্রজেক্টের মাধ্যমে ১০০০ জনের বেশি মানুষকে স্বাবলম্বী করা হয়েছে। এছাড়া রয়েছে বৃদ্ধ বাবা-মা দের জন্য মাস্তুল বৃদ্ধাশ্রম এবং মাস্তুল মেহমানখানা, যেখান থেকে শতাধিক অসহায় নিম্ন আয়ের মানুষের একবেলা পেট পুড়ে খাওয়ার ব্যবস্থা হয়।