কোটা আন্দলনের উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা হল না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
বুধবার (১৭ জুলাই) সিন্ডিকেটের ৫৫১ তম সভার সিদ্ধান্তে বন্ধের এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পাস বন্ধ ও হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. অহিদুল আলম।
এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রীতিলতা, খালেদা জিয়া ও শামসুন্নাহার হলের ছাত্রীরা হল না ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে বিক্ষোভ করছেন।
সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নারী শিক্ষার্থীদের সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে এবং ছেলেদের রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় প্রশাসন। এরপরই প্রতিবাদ জানাতে হলের সামনে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শামসুন নাহার হল প্রভোস্ট এবং চবি প্রক্টর অহিদুল আলমের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ সময় কথা কাটাকাটি হয়।
চবি প্রক্টর অহিদুল আলম বলেন, সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমরা কিছু বলতে পারব না। এখন যারা হলে থাকতে চায় তাদের একটা লিস্ট নিয়ে যাচ্ছি। হলে থাকা না থাকা এটা নিয়ে আবার সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, চলমান আন্দোলনে মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে সারা দেশে ৬ জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন শত শত শিক্ষার্থী। পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।