শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে স্থানীয় সাংবাদিক খোরশেদ আলমের জমি দখল করে জোরপূর্বক স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে লুৎফর রহমান নামে এক প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে স্থাপনা নির্মাণ স্থগিত রাখার জন্য প্রশাসনের নির্দেশ থাকলেও তা মানছেন না লুৎফর রহমান।
অভিযুক্ত লুৎফর রহমান উপজেলার সদর ইউনিয়নের দীঘিরপাড় গ্রামের মরহুম আব্দুল ওয়াহাবের ছেলে। এবং ভুক্তভোগী খোরশেদ আলম দৈনিক ইত্তেফাকের ঝিনাইগাতী সংবাদদাতা।
খোরশেদ আলম জানান, উপজেলা সদরের ব্রিজ রোডের দক্ষিণ পাশে তার একটি পৈত্রিক জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। সেখানে জমির ওপর দিয়ে ঝিনাইগাতী বাজারের পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি ড্রেনও ছিল। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর লুৎফর রহমান তার অজান্তে ড্রেনসহ ওই জমিতে মাটি ভরাট করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এ সময় জমিতে স্থাপনার নির্মাণ কাজে বাধা দিতে গেলে লৎফর রহমান প্রাণনাশের হুমকি দেন বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরে ইউএনও আশরাফুল আলম রাসেল উক্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জমির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) নির্দেশ দেন। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনিন্দা রানী ভৌমিক লুৎফর রহমানকে উক্ত জমিতে স্থাপনার নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দেন। এবং অভিযুক্তকে জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ তার দপ্তরে আসার জন্য বলেন। কিন্তু তার নির্দেশ অমান্য করে লুৎফর রহমান জমিতে স্থাপনা নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে বিষয়ে লুৎফর রহমানের সঙ্গে কথা হলে তিনি একটি গ্রাম্য দলিল দেখিয়ে বলেন, খোরশেদ আলমের আত্মীয়র কাছ থেকে তিনি জমিটি কিনেছেন।
এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ ও দায়ের করেন অভিযুক্ত খোরশেদ আলম। কিন্তু ওসি বছির আহমেদ বাদল তাকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন।