ছাত্র-জনতার ‘এক দফা’ দাবির মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর প্রথমবার শিল্পকলা একাডেমিতে হাজির হয়েছিলেন বিগত সরকারের আমলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া পরিচালক অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জ্যোতি অফিসে প্রবেশের পরপরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তিনি সহকর্মীদের বাধার মুখে শিল্পকলা একাডেমি থেকে বের হয়ে যান।
জ্যোতির অফিসে আসা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সিনিয়র ইনস্ট্রাক্টর আইরিন পারভীন লোপা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তিনি (জ্যোতিকা জ্যোতি) অফিসে আসায় আমরা হতবাক হয়েছি। তিনি কীভাবে অফিসে আসেন, যিনি স্বৈরাচার সরকারের হয়ে কথা বলেছেন। যারা সরাসরি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করতে উৎসাহিত করেছেন, যারা রক্ত ঝরার জন্য দায়ী, তাদের আমরা সহকর্মী হিসেবে চাই না।’
জ্যোতি মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার পর অফিসে প্রবেশ করেন বলেন জানান আইরিন। আসার পরই বাইরে বিভিন্ন বিভাগের সহকর্মীদের জড়ো হতে দেখে জ্যোতি দরজা বন্ধ করে দেন। আইরিন পারভীন বলেন, ‘আমরা তাকে বলেছি অফিস থেকে চলে যেতে। কারণ, তিনি ‘আলো আসবেই’ নামে একটি গ্রুপে যুক্ত হয়ে আন্দোলন করা শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে কথা বলেছেন। এমন লোক আমরা দেখতে চাই না।’
জ্যোতির সঙ্গে কী কথা হয়েছে, তা জানতে চাইলে আইরিন পারভীন বলেন, ‘তিনি বলেছেন, ‘এখনো নিজেকে সরকারের নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা ভাবছেন। তার অধিকার রয়েছে অফিসে আসার।’ যে সরকার নেই, সেই সরকারের দাপট দেখাচ্ছেন। আমরা তাকে সসম্মানে চলে যেতে বলেছি।’
সহকর্মীদের প্রতিবাদের মুখে বেলা ১টা ৫০ মিনিটের দিকে জ্যোতি রুম থেকে বের হয়ে যান। ঘটনা সম্পর্কে জানতে এই অভিনেত্রীকে ফোন করা হলে তার নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। গত বছর মার্চ থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালকের দায়িত্ব পান জ্যোতিকা জ্যোতি।