ইরান সমর্থিত লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর নেতা হাসান নাসারুল্লাহর হুঁশিয়ার বার্তাকে পাত্তাই দিলো না ইসরায়েলি বাহিনী। নাসারুল্লাহর কড়ার বার্তার পরেই লেবাননে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিবিসির অনলাইন প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসরায়েল বলছে, তারা হিজবুল্লাহর ১০০টির বেশি রকেট লঞ্চারে হামলা চালিয়েছে, সেইসঙ্গে দক্ষিণ লেবাননে সন্ত্রাসী স্থাপনা ও একটি অস্ত্রাগারে হামলা চালানো হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, রকেট লঞ্চারগুলো ইসরায়েলে হামলার চালানোর জন্য প্রস্তুত ছিল। তবে এসব হামলায় লেবাননে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেছে- সেই সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংবাদসংস্থা ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি বলছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশের দক্ষিণে অন্তত ৫২টি হামলা চালানো হয়েছে। লেবাননও ইসরায়েলের উত্তরে সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে।
এক বিবৃতিতে আইডিএফ বলছে, আমাদের যুদ্ধবিমান আনুমানিক ১০০ লঞ্চারে আঘাত হেনেছে এবং সন্ত্রাসীদের স্থাপনাও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। হিজবুল্লাহ সন্ত্রাসীদের দমন করতে আইডিএফ এসব অভিযান চালিয়ে যাবে।
এর আগে গত মঙ্গল ও বুধবারের লেবাননে হামলায় অন্তত ৩৭ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে তিন হাজারের বেশি। তবে এসব হামলা দায় স্বীকার করেনি ইসরায়েল।
এরপরেই গতকাল বৃহস্পতিবার ভাষণে হাসান নাসারুল্লাহ বলেন, শত্রুপক্ষ সকল নিয়ম, আইন এবং রেড লাইন অতিক্রম করেছে। তারা নৈতিক, মানবিক, আইনগতসহ কোনোকিছুই পরোয়া করেনি।
সরাসরি হুমকি দিয়ে নাসারুল্লাহ বলেন, তোমরা আবার চ্যালেঞ্জ করেছ। আমরা আবার চ্যালেঞ্জ নিচ্ছি। আমি নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টকে বলতে চাই, তোমরা কখনো লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে না।