গৃহযুদ্ধের কারণে বাণিজ্য ও কৃষি উৎপাদন অস্বাভাবিকভাবে কমে আসায় মিয়ানমারের সংঘাতপূর্ণ রাখাইন রাজ্য দুর্ভিক্ষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। সেখানে প্রায় ২০ লাখ মানুষ অনাহারের ঝুঁকিতে রয়েছে।
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) নতুন এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাখাইনের অর্থনীতি বন্ধ করে দিয়েছে। যদি বর্তমান মাত্রার খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা মোকাবেলা করা না যায়, তাহলে ২০২৫ সালের মাঝামাঝি দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি হতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বীজ ও সারের অভাবসহ প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে অভ্যন্তরীণ ধান উৎপাদন কমে যাচ্ছে। এ বছর রাখাইনে মাত্র ৯৭ হাজার টন চাল হবে, যা গত বছর ছিল ২ লাখ ৮২ হাজার টন।
মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের মধ্যে ইতিমধ্যে রাখাইন রাজ্যে যাওয়ার আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য রুটগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ত্রাণ ও পণ্য প্রবেশকেও মারাত্মকভাবে সীমাবদ্ধ করে দিয়েছে জান্তা সরকার।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অং সান সু চির সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর সংঘাত চলছে।
জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাখাইন রাজ্যে গত আগস্টেই পাঁচ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। যেখানে ২০২৩ সালের অক্টোবরে এই সংক্যা ছিল দুই লাখের কিছু কম। বিশেষ ঝুঁকির মুখে রয়েছে দীর্ঘদিনের নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলিম ও বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠী।