লেনদেন বাড়লেও টানা চার দিনের মতো সূচকের পতন হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৮ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ব্লুচিপ ডিএস-৩০ কমেছে ৬ এবং শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস কমেছে ১ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪৫ কোম্পানির এবং কমেছে ১৮২টির। দাম অপরিবর্তীত ছিল ৬৯ কোম্পানির।
সূচক কমলেও গতদিনের থেকে লেনদেন বেড়েছে ৫৫ কোটি টাকা। ১ লাখ ৪৩ হাজার শেয়ার ১৬ কোটি ৯০ লাখ বার হাতবদলে হয়ে মোট লেনদেন হয়েছে ৪০৬ কোটি টাকা।
লেনদেন হওয়া এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪ কোম্পানির, কমেছে ১২৭ এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
বি ক্যাটাগরির ৮৯ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪১ কোম্পানির, কমেছে ৩৫ এবং অপরিবর্তীত ছিল ১৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
জেড ক্যাটাগরিতে ৮৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৭, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মঙ্গলবার ডিএসই তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। জিপিএইচ ইস্পাত এবং জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইস ২০২৪ সালে শেয়ার বিনিয়োগের বিপরীতে ১০ শতাংশ করে লভ্যাংশ দিয়েছে।
এদিকে তিন কোম্পানিকে এ ক্যটাগরি থেকে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করেছে ডিএসই। সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ইউনিয়ন ব্যাংক এবং সি-পার্ল বিচ রিসোর্ট ক্যাটাগরি হারিয়ে অবস্থান করছে জেডে।
ডিএসই এসব কোম্পানির শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের ঋণ সুবিধা না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ব্রোকারেজ হাউস এবং মার্চেন্ট কোম্পানিগুলোকে।
পতনের ধারা বজায় আছে চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৫, কমেছে ৮১ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৭ কোম্পানির।