ঢাকায় ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্রজনতার’ ওপর হামলার প্রতিবাদে মশালমিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বর থেকে মশালমিছিলটি শুরু হয়। ক্যাম্পাসের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে মিছিলটি শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশ থেকে বিক্ষোভে হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। সেই সঙ্গে পাঠ্যপুস্তক থেকে আদিবাসী শব্দসংবলিত গ্রাফিতির ছবি পুনর্বহাল এবং স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি নামের সংগঠনকে উগ্রবাদী আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধের দাবি জানান তারা।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘আমরা সবাই আদিবাসী, আমরা নই উপজাতি’, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা কেন, জবাব চাই জবাব চাই’, ‘পুলিশের হামলা কেন, রাষ্ট্র তোমার জবাব চাই’, ‘আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি, দিতে হবে দিতে হবে’, ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘আমার ভাইকে মারল কেন, রাষ্ট্র তোমার জবাব চাই’, ‘পাহাড় কিংবা সমতলে, লড়াই হবে সমানতালে’, ‘অ্যাকশন টু অ্যাকশন, আদিবাসীদের অ্যাকশন’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি শাকিল হোসেন, ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) আহ্বায়ক রাকিব হোসেন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জুস্মিতা সরেন, ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী ছয়েস তালুকদার, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী তুহিন চাকমা প্রমুখ। সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ রাজশাহী মহানগর শাখার সভাপতি বিজয় চাকমা।