ভারতের আগ্রাসন ও আমদানি রপ্তানি নিয়ে মুরব্বি খ্যাত মোশতাক ফয়েজী বলেন, ‘দেশের যুবকেরা উৎপাদনমূখী হলে ভারতের দিকে চেয়ে থাকতে হবে না, বর্ডারে কাঁটাতারের কাছে এসে তারাই বলবে "দুলাভাই পেঁয়াজ নেন।"’
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার বোগলা ইউনিয়নে বাগানবাড়ি ওয়াজ মাহফিলে এ কথা বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ভারতের আগ্রাসন আমরা মানি না। ছাত্র জনতা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সময় প্রমাণ করে দিয়েছিল যে আগ্রাসনকে ঠেকাতে তারা বুক চিতিয়ে লড়তে পারে। যার উদাহরণ আবু সাঈদ। যিনি পুলিশের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছি। ঠিক তেমনি ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধেও বাংলার জনতা বিএসএফএর সামনে বুক পেতে দিতে রাজি আছে ।
তিনি বলেন, ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ। ইচ্ছে করলেই যেমন প্রতিবেশী হওয়া যায় না, ঠিক তেমনি প্রতিবেশী বদলানোও যায় না। ছাত্র জনতা এটা জানে কীভাবে প্রতিবেশী দেশকে শিক্ষা দিতে হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিজয়ের পরে এই সিলেট-সুনামগঞ্জের আওতায় যতগুলো মন্দির ছিল আমাদের মাদ্রাসার ছাত্ররা, স্কুল কলেজের ছাত্ররা মন্দিরগুলো পাহারা দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা কিভাবে বিধান করা লাগে। মুসলমানরা সেটা প্রমাণ করে দিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, গো-হত্যার অপরাধে ভারতে একজন মুসলমানের ওপর যখন আঘাত করা হয় তখন সমস্ত মুসলমানের ওপরে আঘাত করা হয়। বাংলাদেশ এমন কাজ করে না। বাংলাদেশের সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে তিনি জানান বাংলাদেশে বসবাসকারী সকলের একমাত্র পরিচয় যে তারা বাংলাদেশী।