শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৪ চৈত্র ১৪৩১
The Daily Ittefaq

ই-অরেঞ্জের সোনিয়া-মাশুকুরের মুক্তির দাবিতে গ্রাহকদের মানববন্ধন

আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:২০

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের পূর্বের মালিক সোনিয়া-মাশুকুরের জামিন চেয়ে মাববন্ধন করেছে গ্রাহকরা। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গ্রাহকদের উদ্যাগে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মালিকানাজনিত সমস্যার কারণে ২০২১ সালের অগাস্ট মাস থেকে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে আছে। গ্রাহকের সঙ্গে সোনিয়া মেহজাবিন এবং মাশুকুর রহমানের ভুল বোঝাবুঝির কারণে মামলাতে নাম দেওয়া হয়েছে তাদের। গত সাড়ে ৩ বছর ধরে এই দম্পতি কারাগারে আটক রয়েছেন।

মানববন্ধনে গ্রাহকরা বলেন, ই-অরেঞ্জের বর্তমান মালিক বীথি আক্তার এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমানুল্লাহ মুক্ত অবস্থায় থাকলেও গ্রাহকদের জন্য কাজ করছেন না। গ্রাহকদের অর্থ ফেরতের কোনো আশা বা নিশ্চয়তার দায়িত্ব কেউ দিচ্ছে না।

এদিকে, সোনিয়া বর্তমানে মালিক না হয়েও তার আইনজীবীর মাধ্যমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে মালিকানা ফেরত চেয়ে যোগাযোগ শুরু করেন বলে জানা গেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল কমার্স দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, আদালতের মাধ্যমে মালিকানা সমস্যা নিরসন করতে হবে। যদি সোনিয়া মালিকানা ফেরত পান, তাহলে তাকে ব্যবসা করতে অনুমতি প্রদান করা সম্ভব হবে।

সম্প্রতি সোনিয়ার আইনজীবী জানিয়েছেন, সোনিয়া সকল গ্রাহকের দায়িত্ব নিতে চান। কিন্তু এখন যদি তিনি জামিন না পান, তাহলে সকল চেষ্টাই বৃথা যাবে।

গ্রাহকদের মানববন্ধন থেকেও সোনিয়া-মাশুকুরের জামিনে মুক্তির বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তারা বলেন, কেবল মাত্র সোনিয়া-মাশুকুরের মুক্তিই হাজার হাজার গ্রাহককে আর্থিক ক্ষতি হতে বাঁচাতে পারে।

গ্রাহকরা জানান, টাকা পাওয়ার আশা যখন একদমই ক্ষীণ ছিল, এ অবস্থায় সোনিয়া-মাশুকুরের এগিয়ে আসা আবার আশার আলো দেখাচ্ছে। এটা সম্ভব হতে পারে, যদি সোনিয়া-মাশুক জামিন পান।

জানা গেছে, চলতি সপ্তাহে সোনিয়া-মাশুকুরের একটি মামলা সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। সকল গ্রাহকদের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হচ্ছে, যাতে তাদের ইতোপূর্বে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশটি বহাল থাকে।

এ বিষয়ে প্রায় ৫০০ গ্রাহকের স্বাক্ষর করা একটি চিঠি এটর্নি জেনারেলসহ আরও কয়েকটি সরকারি দপ্তরে ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে।

মানববন্ধন থেকে আরও বলা হয়, যদি তাদের হাইকোর্টের জামিন আদেশ বহাল না থাকে এবং অতি সত্তর জামিনে মুক্ত করা না যায়, তবে বড় ধরনের কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।

ইত্তেফাক/এসকে
 
unib