রাশিয়ার জ্বালানি ও বিদ্যুৎকেন্দ্র লক্ষ্য করে রাতভর ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এতে একটি শিল্প স্থাপনায় আগুন লাগে। খবর আলজাজিরার।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রুশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাশিয়ার ৯টি অঞ্চলে ১০০টি ড্রোন দিয়ে এ হামলা চালানো হয়। তবে হামলাগুলো ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, জ্বালানি খাত ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরুদ্ধে ব্যাপক এই ড্রোন হামলার লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রও ছিল। বেলারুশ সীমান্তবর্তী পশ্চিমাঞ্চলীয় স্মোলেনস্ক অঞ্চলের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে এই হামলা চালানো হয়।
আঞ্চলিক গভর্নর ভ্যাসিলি আনোখিন টেলিগ্রাম পোস্টে জানিয়েছেন, রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ড্রোনগুলো ধ্বংস করেছে।
রাশিয়ার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত বৃহত্তম বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কেন্দ্র স্মোলেনস্ক পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। সংশ্লিষ্টদের বরাতে রুশ রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আরআইএ জানিয়েছেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি এখন সচল অবস্থায় আছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পশ্চিম রাশিয়াজুড়ে ১০০টি ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন, যার মধ্যে স্মোলেনস্ক অঞ্চলে ১১টি ধ্বংস করা হয়েছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছেন, রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নয়টি অঞ্চলে ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে। ১০০টি ড্রোনের মধ্যে অর্ধেকের বেশি ড্রোন কুরস্কে অঞ্চলে ধ্বংস হয়েছে। এই অঞ্চলের ইউক্রেনীয় সৈন্যদের তাড়িয়ে দেওয়ার উদ্যেগ নিয়েছে রুশ বাহিনী।
ইউক্রেন থেকে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার পূর্বে নিঝনি নভগোরোড অঞ্চল কস্তোভোত। এই অঞ্চলের শিল্প স্থাপনার ধ্বংসপ্রাপ্ত ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ থেকে আগুন লাগে বলে জানিয়েছেন আঞ্চলিক গভর্নর গ্লেব নিকিতিন। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলেও জানান তিনি।
ইউক্রেন সীমান্তবর্তী বেলগোরোড অঞ্চলের গভর্নর জানিয়েছেন, ড্রোন হামলার ফলে একজন আহত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে ভর্তি আছেণ।
গতকাল রাতের ড্রোন হামলা নিয়ে ইউক্রেন এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি। কয়েক মাস ধরেই রাশিয়ার বেশ ভেতরে দূরপাল্লার হামলা বাড়িয়েছে তারা। পশ্চিমা প্রযুক্তি ও অর্থের সহায়তায় এসব দূরপাল্লার হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেন। রাশিয়ার অভ্যন্তরে তাদের হামলার লক্ষ্য মস্কোর যুদ্ধ প্রচেষ্টার মূল অবকাঠামো ধ্বংস করা।