রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১
The Daily Ittefaq

বেক্সিমকোর আরও চারটি কারখানা লে-অফ, শ্রমিক ছাঁটাই

আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০৫

বেক্সিমকো গ্রুপের চারটি শাখা কারখানা লে-অফ ঘোষণা করা হয়েছে, ফলে বহু শ্রমিক চাকরি হারিয়েছেন। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) কোম্পানির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ কারখানা বন্ধ ও শ্রমিক ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা গেছে।  
 
ডিএসইর তথ্য অনুসারে, গাজীপুরের কাশিমপুরে অবস্থিত বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ইয়ার্ন ইউনিট-২, টেক্সটাইল, ডেনিম ও নিটিং বিভাগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে রূপগঞ্জে অবস্থিত ইয়ার্ন ইউনিট-১ চালু থাকবে।  

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বেক্সিমকোর কারখানা পরিচালনা নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি কারখানা লে-অফ হয়েছে, যা পুনরায় চালুর দাবিতে শ্রমিকরা আন্দোলন করে আসছেন। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সরকার বেক্সিমকোর কারখানা ব্যবস্থাপনার জন্য পৃথক কমিটি গঠন করে।  
  
এই কমিটির অন্যতম সদস্য, শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির চেয়েও বড় কেলেঙ্কারি করেছে বেক্সিমকো গ্রুপ।  

তার ভাষ্য অনুযায়ী, টেক্সটাইল ও অ্যাপারেলস খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে বেক্সিমকো ২৮,৫৪৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো, বেক্সিমকো শিল্পপার্কের আওতায় থাকা ৩২টি কোম্পানির মধ্যে ১৬টির অস্তিত্বই নেই। অথচ এই ১৬টি অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে ১২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে।  

তিনি আরও জানান, ফেব্রুয়ারির মধ্যেই বিষয়টি তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এর আগেও বেক্সিমকোর কয়েকটি কারখানা লে-অফ করা হয়েছিল। সম্প্রতি সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, লে-অফে থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১২টি স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হবে। পাশাপাশি বেক্সিমকো ফার্মা ও শাইনপুকুর সিরামিকের বন্ধকি শেয়ার বিক্রি করা হবে।  

ফেব্রুয়ারির মধ্যেই বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানার শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।  

এই প্রেক্ষাপটে গতকাল আরও চারটি কারখানা লে-অফ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেক্সিমকো কর্তৃপক্ষ।

ইত্তেফাক/টিএইচ
 
unib