রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১
The Daily Ittefaq

রাজধানীতে পুলিশের ওপর কিশোর গ্যাংয়ের হামলা, আহত ৪

আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৭:৫৩

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযানে গিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের হামলার শিকার হয়েছে পুলিশ। হামলায় মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের তিন এসআই ও এক এএসআইসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রায়েরবাজার বোর্ড ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ হামলার ঘটনার নেপথ্যে রায়ের বাজার বোর্ড ঘাট এলাকার কিশোর গ্যাং ‘পাটালি গ্রুপ’ জড়িত বলে জানা গেছে।

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- আফজালুর রশিদ, জসীমউদ্দীন, খোরশেদ আলম ও সোহেল রানা। এছাড়া পুলিশের আরেক সোর্স আল-আমিন সবচেয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

জানা যায়, কয়েকদিন আগে একাধিক হত্যা মামলার আসামি ও বোর্ড ঘাট এলাকার কিশোর গ্যাং গ্রুপ পাটালি গ্রুপের মূলহোতা ফালানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ওই সময় পাটালি গ্রুপ ও বোর্ড ঘাটের মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের হাত থেকে তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় ব্যর্থ হয়ে গতকাল সন্ধ্যায় পুলিশের অভিযানের সময় তাদের ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্যরা। এ হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে পাটালি গ্রুপের ল্যাংড়া হাসান, ফরহাদ ও চিকু শাকিল। তাদের নেতৃত্বে এ গ্রুপের সদস্য পিচ্চি হাসান, স্বপন, শাহিন, ছোট্ট হাসান, সবিজ মুন্না, দিপু, সম্রাট, রফিক, রাকিব ও রাসেলসহ ৩০-৪০ জন এ হামলা চালায়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী জানান, রায়ের বাজার এলাকায় মাদকের রমরমা ব্যবসা মূলত কিশোর গ্যাং গ্রুপগুলো টিকিয়ে রেখেছে। কেউ মাদক বন্ধ করতে আসলে কিংবা মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে আসলেই তাদের ওপর গ্রুপের সদস্যরা হামলা চালায়। এসব মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোর গ্যাংগুলোর পেছনে আগে আওয়ামী লীগের নেতা শাহ আলম জীবন ও তারেকুজ্জামান রাজিব শেল্টার দিলেও বর্তমানে তা বিএনপি ও যুবদলের কয়েকজন নেতা শেল্টার দিচ্ছেন।

এর আগে এ কিশোর গ্যাং গ্রুপটি মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটিয়েছিলো।

পুলিশের ওপর কিশোর গ্যাং গ্রুপের হামলার ঘটনায় তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) ইবনে মিজান জানান, গতকাল পুলিশ অভিযানে গেলে কিশোর গ্যাং গ্রুপ ও মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। তবে, ইনজুরিটা অত বেশি হয় নি। যেহেতু পুলিশ কিশোর গ্যাং ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে একেবারে জিরো টলারেন্স। সে জন্য ওই এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোর গ্যাং সদস্যরা পুলিশের সংখ্যা কম থাকায় হামলার ঘটনা ঘটায়। এরপরই রাতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আমরা ওই এলাকা থেকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করি।

ইত্তেফাক/এমএএস
 
unib