রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১
The Daily Ittefaq

‘এনবিআরের সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি, দাম বাড়তে পারে প্রক্রিয়াজাত পণ্যের’

আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩০

বিস্কুট, কেক, জুস, ড্রিংকস প্রভৃতি পণ্যের ওপর বর্ধিত সম্পূরক শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) কমানোর জন্য কয়েক দিন ধরে দাবি করে আসছেন এই খাতের ব্যবসায়ীরা। এ নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের সঙ্গে দুই দফা বৈঠকও হয়েছে তাদের। কিন্তু ফলপ্রসূ হয়নি কোনো বৈঠক।

নতুন করে বর্ধিত শুল্ক ও ভ্যাট প্রত্যাহার করা না হলে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের দাম বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন এ খাতের উদ্যোক্তারা।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) শুল্ক-কর কমানোর দাবিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তারা।

এ সময় প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের উদ্যোক্তারা বলেন, এনবিআরের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা না হওয়ায় সবাই হতাশ। বর্ধিত শুল্ক ও ভ্যাট প্রত্যাহারের সুখবর পাওয়া যায়নি। তারপরও কয়েক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে ভালো সংবাদ পাবেন বলে প্রত্যাশা তাদের।

প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যে বাড়তি শুল্ক-কর প্রত্যাহারের দাবিতে দ্বিতীয় দফায় আজ এনবিআরের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশ অ্যাগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) নেতারা। বৈঠকে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, সদস্য ড. মো. আবদুর রউফ (মূসক নীতি) ও দ্বিতীয় সচিব (মূসক) মো. বদরুজ্জামান মুন্সী উপস্থিত ছিলেন। একই দাবিতে গত ২৩ জানুয়ারি বৈঠকে করেছেন তারা।

তবে দ্বিতীয় বৈঠকের পর ব্যবসায়ীরা শোনান হতাশার কথা। শুল্ক ও ভ্যাট না কমালে শিগগির প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন তারা। বৈঠকে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান, এনবিআর সদস্য ড. মো. আবদুর রউফ (মূসক নীতি) ও দ্বিতীয় সচিব (মূসক) মো. বদরুজ্জামান মুন্সী উপস্থিত ছিলেন।

বাপার সভাপতি এম এ হাশেম বলেন, শুল্ক-কর বাড়ানোর ফলে পণ্যের দাম বাড়বে। এতে ভোক্তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ব্যবসায়ীদের বিক্রি কমে যাবে। সরকারেরও রাজস্ব কমবে। অনেকেই বাধ্য হবেন শ্রমিক ছাঁটাই করতে। কয়েকদিনের মধ্যে এর সমাধান না হলে পণ্যের দাম বাড়াতে বাধ্য হবো।

বৈঠক শেষে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী বলেন, এনবিআর চেয়ারম্যানকে বিনয়ের সঙ্গে বলা হয়েছে, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের ওপর শুল্ক-কর বাড়ানো অযৌক্তিক। ব্যবসায়ীরা এখনও লোকসান দিয়ে আগের দামে পণ্য বিক্রি করছে।

বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুল্ক-কর বাড়ানোর ফলে প্রক্রিয়াজাত পণ্যের চাহিদাও কমে যাবে। ফলে উদ্যোক্তারা এ ব্যবসা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে।

বাংলাদেশ বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিকুর রহমান ভুঁইয়া বলেন, বিস্কুটের প্যাকেট আর কত ছোট করবো। ভোক্তার সঙ্গে প্রতারণা করতে চাই না। বর্ধিত কর সমন্বয় না হলে বাধ্য হয়ে প্যাকেট ছোট করতে হয়। তিনি বলেন, করনেট বাড়াতে বাপা সদস্যদের সচেতন করা হবে। যারা ভ্যাট দিচ্ছে না তারা আন্ডারগ্রাউন্ডে কোনো কিছু একটা করে। অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে তাদের করনেটে আনা হবে।

ইত্তেফাক/এএম
 
unib