রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১
The Daily Ittefaq

গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচে ১২ হাজার লাশ

আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯:২০

ইহুদিবাদী ইসরায়েলের গণহত্যা অভিযানে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া গাজা উপত্যকার বিধ্বস্ত ঘরবাড়ির নিচে অন্তত ১২ হাজার মরদেহ চাপা পড়ে আছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে গাজার সরকারি গণমাধ্যম অধিদপ্তর। তেল আবিব এসব ধ্বংসস্তূপ সরানোর জন্য গাজায় ভারী যন্ত্রপাতি প্রবেশে বাধা দেওয়ায় এ ঘোষণা দেওয়াও হলো।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পশ্চিম তীর থেকে গাজার সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াফা এ খবর জানায়।

গাজার সরকারি গণমাধ্যম অধিদপ্তরের প্রধান সালামা মারুফ গতকাল শুক্রবার গাজা সিটির বাপটিস্ট হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গাজায় ভারী যন্ত্রপাতি প্রবেশ করতে না দেওয়ায় বিধ্বস্ত ভবনগুলোর নিচ থেকে লাশ বের করার কাজে বেগ পেতে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ইজরায়েল যদি এভাবে বাধা দিয়ে যায় তাহলে হামাসের হাতে আটক যেসব জিম্মি ইহুদিবাদীদের বিমান হামলায় ঘরবাড়ি চাপা পড়ে নিহত হয়েছে, তাদের লাশ উদ্ধার করে তেল আবিবের কাছে হস্তান্তর করাও সম্ভব হবে না।

গাজায় ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের চালানো গণহত্যায় ৪৭,৫৮৩ ব্যক্তির নিশ্চিত মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ১১ হাজার ৬৩৩ ফিলিস্তিনি। হতাহতদের প্রায় ৭০ ভাগ নারী ও শিশু। 

জাতিসংঘের হিসেবে গাজায় ১৭ হাজার শিশু নিহত হয়েছে।

গাজায় হামাসকে ‘ধ্বংস’ করে নিজের জিম্মিদের জীবিত উদ্ধার করার লক্ষ্য অর্জন করতে ব্যর্থ হয়ে গত ১৫ জানুয়ারি হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে বাধ্য হয়। ওই চুক্তিতে ধ্বংসস্তূপ সরানোর জন্য গাজায় ভারী যন্ত্রপাতি প্রবেশ করতে দেওয়ার কথা থাকলেও সে প্রতিশ্রুতি অব্যাহতভাবে লঙ্ঘন করে যাচ্ছে তেল আবিব।

এর আগে শুক্রবারই গাজার মিডিয়া অফিস সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে গাজায় প্রতিদিন ন্যূনতম যে সংখ্যক ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে দেওয়ার কথা ছিল তাও দিচ্ছে না ইসরাইল। বর্তমানে এই উপত্যকায় যে ত্রাণ প্রবেশ করছে তা এখানকার অধিবাসীদের ন্যূনতম চাহিদাও পূরণ করতে পারছে না।

ইত্তেফাক/এমএএস
 
unib