ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে উঠবে বলে আশার কথা জানিয়েছেন বক্তারা। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর মিরপুরে এক সেমিনারে বক্তারা এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ইসিটি কম্পাউন্ড অফিস সেনপাড়া পর্বতা মিরপুর ১০, ইক্যুমেনিক্যাল খ্রিষ্টান ট্রাস্ট (ইসিটি) কর্তৃক আয়োজিত ‘সমৃদ্ধি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ নির্মাণে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইক্যুমেনিক্যাল খ্রিষ্টান ট্রাস্ট (ইসিটি)-এর চেয়ারম্যান রেভারেন্ড ইম্মানুয়েল মল্লিক।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নাসির উদ্দীন আহমদ, অধ্যাপক ইংরেজি বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যাথরিন পিউরীফিকেশন চেয়ারম্যান নাট্যকলা বিভাগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, মিল্টন বিশ্বাস সেক্রেটারি ইক্যুমেনিক্যাল খ্রিষ্টান ট্রাস্ট (ইসিটি), জ্ঞানেন্দ্র বাড়ৈ, পাস্টর রায়চাঁদ বর্মণ, শাকিল মোল্লা আহ্বায়ক যুবদল মিরপুর থানা, প্রমুখ।
আমিনুল হক বলেন, যে লক্ষ্য নিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিল বাকশালীদের প্রভাবে সেটা পূরণ হয়নি। জিয়াউর রহমান অল্প কিছু সময়ের মধ্যে দেশকে কৃষি শিল্প এবং রপ্তানির মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যায়, স্বৈরাচারী এরশাদ দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়, স্বাধীনতার উদ্দেশ্য ৫৩ বছরেও তা পূরণ হয়নি। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা বিএনপি'র ৬০ লক্ষ নেতাকর্মীকে হামলা মামলার শিকার করে এবং দেড় লক্ষ নেতা কে জেলবন্দি করেছিল।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ৬ মাসেও স্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ৩১ দফা রূপরেখার মধ্যে সমৃদ্ধি ও সম্প্রীতির কথা বলেছেন মৌলিক চাহিদার কথা বলেছেন, পরিপূর্ণভাবে স্বৈরাচারমুক্ত না হলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হলে সমৃদ্ধি ও সম্প্রীতি পূর্ণতা পায় না। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা হিন্দু-খ্রিস্টান ও সংখ্যালঘু মানুষের উপর হামলা করে বিএনপির উপর দোষ দিত ভারতের সুবিধা নেওয়ার জন্য। রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ক্ষমতায় ছিল, স্বৈরাচারমুক্ত হওয়ার পর এখন আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারি। আমরা আর সংখ্যালঘু বলতে চাই না ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে সমৃদ্ধি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।