সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ডা. এমএ মুহিতের শাহজাদপুরের দুটি বাড়ি ভাঙচুর ও বিষ্ফোরক মামলায় সাবেক এমপি ও শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চয়ন ইসলাম ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী জোসনা খানমকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে শাহজাদপুর চৌকি আদালতে স্ত্রীসহ চয়ন ইসলামকে হাজির করে তাদের জামিন আবেদন করলে নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রব্বানী।
এর আগে গত রোববার রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর থানা পুলিশ তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ি মাটির মসজিদ এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করেন। এরপর সোমবার রাতে তাদের শাহজাদপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রাতেই তাদের শাহজাদপুর থানা নিয়ে আসা হয়। এরপর তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
শাহজাদপুর চৌকি আদালতের সিএসআই মো. আশরাফ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শাহজাদপুর থানার ওসি আসলাম আলী জানান, ২০১৮ সালে নির্বাচনকালে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ডা. এমএ মুহিতের শাহজাদপুরের দুটি বাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় সাবেক এমপি চয়ন ইসলামের বিরুদ্ধে ভাংচুর ও বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়। ওই মামলায় সাবেক এমপি চয়ন ইসলাম ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের এদিন সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরে আদালতের বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
চয়ন ইসলাম সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি আত্মগোপনে যান। নভেম্বরে চাঁদাবাজির অভিযোগে আদালতে চয়ন ইসলামসহ পাঁচজনের নামে মামলা হয়। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলি করে হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে।