রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের এক নারী কর্মীকে মারধরের পর পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে তাকে একটি নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে নগরীর কাদিরগঞ্জ আমবাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার রুমানা ইসলাম আখি মহানগর আওয়ামী লীগের কর্মী।
নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী মাসুদ জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ওই নারীকে নাশকতার মামলায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তাছাড়া চলমান ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে’ সোমবার দিবাগত রাতে রাজশাহী নগরী ও জেলার বিভিন্ন স্থানে পৃথক অভিযানে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। এদের মধ্যে রাজশাহী নগরী থেকে ৩ জন এবং জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নগরীতে চলমান অভিযানে গ্রেপ্তাররা হলেন, ১৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সুমন, কাশিয়াডাঙ্গা থানা যুবমৈত্রীর আহবায়ক হাফিজুর রহমান সাগর ও ছাত্রলীগ কর্মী আতিকুর রহমান।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন জানান, বোয়ালিয়া মডেল থানার তিনটি মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
জেলার বিভিন্নে এলাকায় অভিযান চালিয়ে নয়টি মামলায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও তাৎক্ষণিক তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি। তবে গ্রেপ্তাররা সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল আলম বলেন, জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নয়টি মামলায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।