শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৪ চৈত্র ১৪৩১
The Daily Ittefaq

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাটি কাটার ধুম, ঝুঁকিতে ফসলি জমি

আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৪১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে  অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। রাত হলেই উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের সোনাই নদীর পাড়ের মাটি ও ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে মাটি খেকোরা। ফলে যেকোনো সময় নদীর দুই পাড়ের ফসলি জমি ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে আতংকিত এলাকাবাসী।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনসহ বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করেও মাটি কাটা বন্ধ করতে পারছেনা। সারারাত ট্রাক্টর দিয়ে মাটি পরিবহনের কারণে  নদীর পাশের বিভিন্ন গ্রামের লোকজন আওয়াজে ঘুমাতে পারে না এবং রাস্তার পাশের জমিতে ধুলোবালি পড়ে ফসলি জমির  উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে ও রাস্তা ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ধুলোর কারণে লোকজন শ্বাসকষ্ট সহ বিভিন্ন চর্ম রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বুধন্তি  ইউনিয়নের শশুই নামক স্থানে সোনাই নদীতে ড্রেজার দিয়ে একটি শ্রেণী দেদারছে বালু উত্তোলন করে মহাসড়কের ঠিকাদারকে দিচ্ছে। রাত হলেই শত শত ট্রাক দিয়ে বিভিন্ন স্থানে মাটি পাচার শুরু হয় যা স্থানীয় ইটভাটাসহ বিভিন্ন মিলকারখানায় পাচার করছে। এতে ফসলি জমিসহ নদীভাঙনের হুমকি দেখা দিয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।

গত মাসের ৩০ শে জানুয়ারি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাধনা ত্রিপুরার সভাপতিত্বে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মহসিন ভুঁইয়া মাটি কাটা বন্ধে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

তিনি বলেন, মহাসড়কের ঠিকাদার ইচ্ছে মত ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছেন, কি পরিমাণ বালু উত্তোলন করছে তার হিসাব কেউ জানেনা। যেভাবে বালু উত্তোলন করছে এভাবে করলে পুরো উপজেলা নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে। এসময় একাধিক সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধিরা মাটি কাটা বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ ব্যাপারে বুধন্তি ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান এমদাদুল হোসেন বলেন,উপজেলা প্রশাসনকে বিভিন্ন সময় অবহিত করা হলেও এটা বন্ধ করা হয়নি। তাই এলাকাবাসীর ফসলি জমি রক্ষার স্বার্থে তিতাস নদীর মাটি ও বালি উত্তোলন বন্ধ করতে স্থানীয় মেম্বার ও জমির মালিকদের সই সহ একটি অভিযোগ গত ৫ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাধনা ত্রিপুরা জানান, অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইত্তেফাক/এএইচপি
 
unib