শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৪ চৈত্র ১৪৩১
The Daily Ittefaq

যেকোনো দিন রাশিয়ার অংশ হতে পারে ইউক্রেন: ট্রাম্প

আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩:২৭

ইউক্রেন ‘যেকোনো দিন রাশিয়ার অংশ হতে পারে’ বলে মন্তব্য করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এ কথা বলেছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে সিএনএন এই তথ্য জানিয়েছে। 

সম্প্রতি ট্রাম্প জানিয়েছেন, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনা সভায় বসবেন চলতি সপ্তাহেই।

ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে গত তিন বছর ধরে। সেই যুদ্ধ বন্ধের চেষ্টা করেই চলছেন ট্রাম্প। ফক্স নিউজে সম্প্রচার হওয়া এক সাক্ষাৎকারে যুদ্ধ শেষ করার জন্য তার প্রশাসনের প্রচেষ্টার কথা বলেছেন ট্রাম্প।

তিনি বলেছেন, ‘তারা (ইউক্রেন) চুক্তি করতে পারে বা নাও করতে পারে। ইউক্রেন রাশিয়ার অংশ হতেও পারে, আবার নাও হতে পারে।’ তবে ইউক্রেনকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার বিনিময়ে মুনাফা অর্জনের ওপরও জোর দেন ট্রাম্প। দেশটির বিরল খনিজের মতো প্রাকৃতিক সম্পদের বাণিজ্যের বিষয়ে জোর দেন তিনি।

সোমবার(১০ ফেব্রুয়ারি) ট্রাম্প ইউক্রেনবিষয়ক বিশেষ দূত কেইথ কেলগকে কিয়েভে পাঠানোর কথা নিশ্চিত করেছেন। কেইথকে যুদ্ধ বন্ধের জন্যে একটি রূপরেখা তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার(১১ ফেব্রুয়ারি) ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইউক্রেনের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ, রাশিয়ার হতে চায়। দেশটির বর্তমান পরিস্থিতি ট্রাম্পের সেই বক্তব্যকেই প্রতিফলিত করে।’

এর আগে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া জোরালো আক্রমণ শুরু করে ইউক্রেনে। কয়েক দিনের মধ্যেই রাজধানী কিয়েভ এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশের বাকি অংশ দখল হবে বলে ধারণা ছিল তাদের। কিন্তু তা না হয়ে প্রায় চার বছর দীর্ঘ হলো যুদ্ধ। চলতি মাসের শেষের দিকে যুদ্ধটি চতুর্থ বছরে প্রবেশ করতে চলেছে।

ট্রাম্প অল্প সময়ের মধ্যেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান চাচ্ছেন। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি রাশিয়ার সঙ্গে যেকোনো চুক্তিতে যাওয়ার আগে ওয়াশিংটনের কাছ থেকে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চয়তা চেয়েছেন। চুক্তিতে ন্যাটো সদস্যপদ বা শান্তিরক্ষী সেনা মোতায়েনের মতো কঠোর সামরিক প্রতিশ্রুতি না থাকলে রাশিয়াকে নতুনভাবে আক্রমণের জন্য পুনরায় সংগঠিত হওয়ার সুযোগ করে দেবে বলে আশঙ্কা ইউক্রেনের।

ইত্তেফাক/এনএন/এনটিএম
 
unib