সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপান্তরের দাবি না মানলেও অন্য ছয় দাবির বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় দৃশ্যমান কার্যক্রম নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
তারা বলছেন, দাবি বাস্তবায়নে সাত দিনের মধ্যে দৃশ্যমান কার্যক্রম নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা আগের মতই ‘ব্যর্থ’ হয়েছে। আশ্বাস বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়কে আরও সাত দিন সময় বেঁধে দিয়েছেন। সেইসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ চেয়েছেন তারা।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে মহাখালীতে কলেজ ক্যাম্পাসে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর আলোচনার আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দিতে হেঁটে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার উদ্দেশে তারা রওনা দেন।
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরসহ সাত দাবিতে অনশন ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকা অবরোধে ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। গত ৩ ফেব্রুয়ারি অনশনরত ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মহাখালী রেলক্রসিং ও সড়ক আটকান তারা। কলেজের সামনের সড়ক আটকে টানা কয়েকদিন আন্দোলন করেন।
পরে শিক্ষা মন্ত্রাণলয়ে আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবি ‘বাস্তবায়ন সম্ভব নয়’ বলে জানানো হয়। তবে তাদের অন্য ছয় দাবির ব্যাপারে আশ্বাস দিলে তারা কর্মসূচি থেকে সরে আসেন।
সংবাদ সম্মেলনে আমিনুল ইসলাম শতভাগ আবাসন ও পরিবহন সংকট মোটানোসহ দাবিগুলো তুলে ধরে বলেন, ‘এগুলো মেনে নিয়ে সাত দিনের মধ্যে রাষ্ট্রীয় প্রজ্ঞাপন বা উন্নয়নের লিখিত নথিপত্র প্রকাশের কথা থাকলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় তা করেনি। বরং নতুন করে কলেজে ১৫১টি শিক্ষা ক্যাডারের পদ সৃষ্টির মাধ্যমে সিন্ডিকেট আরও মজবুত করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা চাই শিক্ষা ক্যাডারের পদ সৃষ্টির প্রক্রিয়া স্থগিত ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদানের যোগ্যাতাসম্পন্ন পিএইচডি ডিগ্রিধারী ১৫ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চালু থাকুক। এসব আশ্বাস বাস্তবায়নে সাত দিনের মধ্যে দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কথা দিয়েছিল। সে কথা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।’
আমিনুল বলেন, ‘তাদের দেওয়া আশ্বাস বাস্তবায়নে আমরা আরও সাত দিনের সময় দিচ্ছি, একইসঙ্গে আশ্বাস বাস্তবায়নে তাদের সহযোগিতা করতে শিক্ষার্থীরা প্রস্তুত। আগামী সাত দিনের মধ্যে আমরা ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান ও লিখিত কাজ দেখতে চাই। তা নাহলে কঠোর কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে।’