মালিককে না পেয়ে কর্মচারীদের মারধরের পর অফিস রুমের চাবি নিয়ে টাকা লুট এবং মালিকের কাছে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুর-আজমতপুর-ইটাখোলা আঞ্চলিক সড়কের মৈশাইর গ্রামের ইউনিয়ন এলপিজি অটোগ্যাস রিফুয়েলিং স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।
ইউনিয়ন এলপিজি অটোগ্যাস রিফুয়েলিং স্টেশনের কর্মচারীরা জানান, দুর্বৃত্তরা তাদের মারধরের পর অফিস রুমের চাবি নিয়ে নগদ ৫ লক্ষাধিক টাকা লুটে নেয়। পাশাপাশি ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা না দিলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুণ দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া এবং মালিককে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় রিফুয়েলিং স্টেশন মালিক বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ১৭/১৮ জনকে অভিযুক্ত করে কালীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঘটনার এবং মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিফুয়েলিং স্টেশনের সত্ত্বাধিকারী বাংলাদেশ এলপিজি অটোগ্যাস স্টেশন এন্ড কনভারসন ওয়ার্কসপ ওনারস এসোসিয়েশনের ঢাকা উত্তর জোনের সাবেক সভাপতি ব্যবসায়ী জামিল ওয়াহেদ মুহিদ।
মামলার এজাহারে বাদী জামিল ওয়াহেদ বলেন, অভিযুক্তরা দীর্ঘ দিন যাবত আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে ম্যানেজারের কাছে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছিল। চাঁদার টাকা না দিলে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও আমাকে হত্যারও হুমকি দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৭ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) রাতে মৈশাইর এলাকার মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে রতন খানের (৪৯) নেতৃত্বে মোটরসাইকেল করে আসা ১৭/১৮ জন বহিরাগত লোকের সবার মুখে মাস্ক, কালো কাপড় বাঁধা ও তারা দেশীয় অস্ত্রে-শস্ত্রে সজ্জিত ছিল। প্রথমে আমাকে তারা মৈশাইর বাজারে হত্যার জন্য খোঁজাখুঁজি করে। পরে আমাকে না পেয়ে তারা আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের মারধর, ভাংচুর, নগদ ৫ লক্ষাধিক টাকা লুটসহ আবারও ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা দিতে না পারলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিবে এবং আমাকে প্রাণে মেরে ফেলে লাশ গুম করারও হুমকি দেয় তারা। এছাড়াও তারা আমার কর্মচারীর বেতনের ৫০ হাজার টাকা ও তাদের ৩টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় আমি আতঙ্কে আছি। তাছাড়া আমার পুরো পরিবারও এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর কাশেম বলেন, মামলা হওয়ার দিন রাতেই থানা পুলিশ অভিযান করেছে। খবর পেয়ে অভিযুক্তরা পালিয়েছে। তবে আমরা তাদের গ্রেপ্তারের সব ধরণের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলাউদ্দিন বলেন, ব্যবসায়ী জামিল ওয়াহেদ মুহিদ থানায় ৩ জনের নামে ও কয়েকজনকে অজ্ঞাত অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় একটি মামলায় রুজু হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে থানা পুলিশ কাজ করছে। অপরাধী যেই হউক তাকে ছাড় দেওযা হবে না।