মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১
The Daily Ittefaq

পল কাপুরের কারণে বিপদে পড়বে পাকিস্তান?

আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩:০৪

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে ভারতীয় বংশোদ্ভুত পল কাপুরকে মনোনয়ন দিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। তার এই মনোনয়নে এখন সিনেটের অনুমোদন বাকি আছে। গত বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সিনেটের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। 

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতার পালাবদলের কারণে পদ থেকে সরে যেতে হয় ডোনাল্ড লু'কে। তিনি জো বাইডেনের সময় নিয়োগ পেয়েছিলেন। দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরো মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি এবং আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং উজবেকিস্তানের সঙ্গে মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে কাজ করে। 

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পল কাপুর এই অঞ্চলের নিরাপত্তা বিশ্লেষণ নিয়ে কয়েক দশক ধরে কাজ করেছেন। তিনি দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা নিয়ে ব্যাপকভাবে লিখেছেন। বিশেষ করে পাকিস্তান কীভাবে জিহাদি জঙ্গিবাদদের ব্যবহার করে তা নিয়ে লিখেছেন।   

তিনি যেসব বই লিখেছেন তার মধ্যে রয়েছে– ‘জিহাদ অ্যাজ গ্র্যান্ড স্ট্র্যাটেজি: ইসলামিস্ট মিলিট্যান্সি, ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড দ্য পাকিস্তানি স্টেট’, ‘ডেঞ্জারাস ডিটারেন্ট: নিউক্লিয়ার উইপন্স প্রলিফারেশন অ্যান্ড কনফ্লিক্ট ইন সাউথ এশিয়া।

এ ছাড়া পল কাপুর সহলেখক হিসেবে লিখেছেন ‘ইন্ডিয়া, পাকিস্তান অ্যান্ড দ্য বোম্ব: ডিবেটিং নিউক্লিয়ার স্ট্যাবিলিটি ইন সাউথ এশিয়া’।  

‘জিহাদ অ্যাজ গ্র্যান্ড স্ট্র্যাটেজি: ইসলামিস্ট মিলিট্যান্সি, ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড দ্য পাকিস্তানি স্টেট’- বইয়ে পল কাপুর তুলে ধরেছেন যে, ভারতকে প্রতিহত করতে ও আফগানিস্তানে প্রভাব বজায় রাখার উপায় হিসেবে পাকিস্তান কীভাবে সক্রিয়ভাবে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো লালন-পালন করেছে। 

এ ছাড়া পল কাপুর তার গবেষণায় স্পষ্ট করেছেন, এসব জিহাদি গোষ্ঠীগুলো থেকে পাকিস্তান প্রাথমিকভাবে সুবিধা পেলেও পরবর্তী সময়ে তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

পল কাপুর আরও উল্লেখ করেছেন, পাকিস্তান প্রায়ই নিজেকে সন্ত্রাসবাদের শিকার হিসেবে উপস্থাপন করলেও, লস্কর-ই-তৈয়বা এবং হাক্কানি নেটওয়ার্কের মতো গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। 

বিবিসি জানিয়েছে, ডোনাল্ড লু’র স্থলাভিষিক্ত হতে যাওয়া পল মার্কিন নৌ বাহিনীর পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্কুলে শিক্ষকতায় যুক্ত ছিলেন। স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির হুভার ইনস্টিটিউটে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবেও কাজ করেছেন।

ট্রাম্পের প্রথম দফায় তিনি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পলিসি প্ল্যানিং বিভাগে যুক্ত ছিলেন। 

ইত্তেফাক/এসআর
 
unib